শিরোনাম
শুক্রবার, ১৯ জুলাই, ২০১৯ ০০:০০ টা
কোরবানির পশু

বগুড়ায় চাহিদার চেয়ে ৭৫ হাজার বেশি উৎপাদন

নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া

আসন্ন কোরবানির ঈদকে টার্গেট করে স্বপ্ন বুনছেন পশু খামারিরা। জেলার ২৬ হাজার খামারি এখন কোরবানির হাটকে কেন্দ্র করে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন। বগুড়ায় কোরবানির জন্য পশুর চাহিদা ৩ লাখ ৪৭০টি আর পালন হয়েছে প্রায় পৌনে ৪ লাখ। এদিকে বগুড়ার হাটগুলোতে কোরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে মৌসুমি গরু ব্যাপারীদের আনাগোনা বেড়েছে। এসব ব্যাপারী গরু এক জেলা থেকে অন্য জেলার হাটে বিক্রি করে থাকেন। গত বছর বগুড়ার হাটগুলো থেকে চট্টগ্রাম, সিলেট ও রংপুরের ব্যবসায়ীদের গরু ক্রয় করতে দেখা গেছে। উত্তরাঞ্চলের অন্যতম বৃহৎ হাট বগুড়ার মহাস্থানগড় গরুর হাট। এ হাট ছাড়াও ঘোড়াধাপ, সুলতানগঞ্জ হাট, শেরপুর হাট, সাবগ্রাম হাট, পেরী হাট, নামুজাসহ প্রায় শতাধিক স্থানে হাট বসে। এসব হাটে স্থানীয়ভাবে যেমন কোরবানির পশু কেনাবেচা হয় ঠিক তেমনি অন্য জেলার জন্যও পশু কেনাবেচা হয়।

 বগুড়ার খামারিরা কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে খামারে কোরবানি উপযোগী পশু লালন-পালন করে লাভের আশা করছেন। এবার খামারিরা দেশি জাতের প্রচুর গরুর লালন-পালন করেছেন।

বগুড়া জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. রফিকুল ইসলাম তালুকদার জানান, জেলায় কোরবানির হাট কিছু দিনের মধ্যে জমে উঠবে। খামারে এবার প্রচুর পরিমাণে দেশীয় জাতের গরু পালন করা হয়েছে। এ বছর গরু ২ লাখ ৯৩ হাজার ৬২টি, মহিষ ২ হাজার ৪৮টি, ছাগল দেড় লক্ষাধিক, ভেড়া সাড়ে ২৬ হাজার নিয়ে মোট গবাদিপশু উৎপাদিত হয়েছে ৩ লাখ ৮৮ হাজার ৮০৮টি। মোট খামারি রয়েছে ২৬ হাজার ৯৩০ জন। বগুড়া জেলায় কোরবানির পশুর চাহিদা প্রায় ৩ লাখ ৩৫ হাজার। গত বছর কোরবানি দেওয়ার সংখ্যা ছিল সব মিলিয়ে প্রায় ৩ লাখ ২৬ হাজার ৪০৫টি। তিনি জানান, জেলায় চাহিদার তুলনায় বেশি পশু লালন পালন হয়। বাড়তি পশুগুলো বিভিন্ন জেলায় চলে যায়। সবচেয়ে বেশি যায় ঢাকায়। এ ছাড়া চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, সিলেটেও যায় কোরবানির পশু। বগুড়াবাসী দেশীয় পশু দিয়েই তাদের কোরবানির কাজ সম্পন্ন করতে পারবেন বলে এ কর্মকর্তা আশা প্রকাশ করেন।

বগুড়ার নন্দীগ্রাম, শাজাহানপুর, বগুড়া সদর, শিবগঞ্জ, সোনাতলা, সারিয়াকান্দি, ধুনট উপজেলার খামারিরা দেশীয় জাতের গরু লালন-পালন করেছে। গরুগুলো লালন-পালনে খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে কাঁচা ঘাস, খৈল, ভুসি, ভাতের মাড়, খড়, খুদ, কুড়া ইত্যাদি। খামারিরা বলছেন, তারা কোনো ওষুধ খাওয়াননি। স্থানীয় প্রাণী চিকিৎসকদের পরামর্শে গরুগুলো কোরবানির যোগ্য করে তোলা হয়েছে।

বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার খামারিরা জানান, গত কয়েক বছরে ভারতীয় গরু কম সরবরাহের কারণে জেলায় দেশীয় জাতের গরুর চাহিদা বেড়ে যায়। এ চাহিদা মাথায় রেখে খামারিদের মাঝে গরু লালন-পালনের ইচ্ছেও বেড়ে যায়।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর