রবিবার, ২১ জুলাই, ২০১৯ ০০:০০ টা

অবৈধ দখলদারদের কারণেই চ্যালেঞ্জে জলাবদ্ধতা নিরসন

নাগরিক ভোগান্তি

সামছুজ্জামান শাহীন, খুলনা

বৃষ্টি হলেই খুলনা মহানগরীর বিভিন্ন সড়কে হাঁটু পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। ড্রেনের নোংরা কাদা পানির সঙ্গে ময়লা আবর্জনা মিশে সড়ক তলিয়ে যায়। নদীতে জোয়ার থাকলে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা ব্যাহত হওয়ায় ভোগান্তি বাড়ে আরও কয়েকগুণ। নাগরিক নেতাদের মতে, খুলনার জলাবদ্ধতা নিরসনে হাজার কোটি টাকার প্রকল্প নেওয়া হলেও অপরিকল্পিত উন্নয়নে সুফল মেলে না। দীর্ঘদিনেও ময়ূর নদীসহ সংযুক্ত ২২ খালের অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ না হওয়া, পানি নিষ্কাশনের অপ্রশস্ত ড্রেন, সংস্কারের অভাবে ড্রেনগুলো ভরাট হয়ে যাওয়া ও রূপসা নদীর তলদেশ উঁচু হওয়ায় জলাবদ্ধতা নিরসন এখন বড় চ্যালেঞ্জ। জানা যায়, গত ১২ জুলাই বেলা আড়াইটা থেকে বিকাল পৌনে ৫টা পর্যন্ত ৫৯ মিলিমিটার বৃষ্টিতে মহানগরীর কেডিএ এভিনিউ, শান্তিধাম মোড়, বাগমারা, মিস্ত্রিপাড়া, লবণচরা, মুজগুন্নিসহ বিভিন্ন এলাকা পানিতে তলিয়ে যায়। এর মধ্যে কেডিএ এভিনিউ, মুজগুন্নি এলাকায় বৃষ্টির পরদিনও পানি জমে থাকে। বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির মহাসচিব শেখ আশরাফ-উজ্জামান বলেন, পানি নিষ্কাশনের ড্রেনগুলো নিয়মিত পরিষ্কার না করায় ময়লা জমে তা ভরাট হয়ে গেছে। এ ছাড়া খালগুলো দখল করে অবৈধ স্থাপনা গড়ে ওঠায় জলাবদ্ধতায় দুর্ভোগ পোহাতে হয় নগরবাসীকে। তবে খুলনা সিটি করপোরেশনের নগর পরিকল্পনাবিদ আবিরুল জব্বার জানিয়েছেন, নগরীর ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়নে প্রায় ৮২৩ কোটি টাকার প্রকল্পের আওতায় ময়ূর নদ খনন, নতুন ড্রেন নির্মাণ-সংস্কারের পাশাপাশি জোয়ারের সময় শহরের পানি পাম্প দিয়ে নদীতে অপসারণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে বৃষ্টির সময় নগরীর জলাবদ্ধতা কমবে। জানা যায়, এই প্রকল্পের আওতায় মুজগুন্নি থেকে খুদে খাল পর্যন্ত ও লবণচরা ক্ষেত্রখালী খাল থেকে মাথাভাঙ্গা স্লুইচ গেট পর্যন্ত নতুন ড্রেন নির্মাণের জন্য জমি অধিগ্রহণ করা হচ্ছে। এতে ব্যয় হবে প্রায় ৩৬ কোটি টাকা। একই সঙ্গে বাংলাদেশ মিউনিসিপ্যাল ডেভেলপমেন্ট ফান্ডের আওতায় ১৭ কোটি ৩৮ লাখ টাকা ব্যয়ে কেডিএ এভিনিউ ও আবু আহমেদ সড়কে ড্রেন প্রশস্তকরণ ও ফুটপাথ পুনর্নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে।

সিটি মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক বলেন, পানি নিষ্কাশনের খালগুলোতে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করতে শক্তিশালী কমিটি করা হয়েছে। মাঠপর্যায়ের প্রতিবেদন পাওয়ার পর উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু হবে।

তিনি বলেন, পানি নিষ্কাশন ও সড়ক-ড্রেন সংস্কারে এ বছর বাজেটে ৪০২ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। টাকা পাওয়ার পর কাজ শুরু হবে। তবে যেখানেই উন্নয়ন করব সেখানে পানি কীভাবে নিষ্কাশন হবে সেটা আগে চিহ্নিত করা হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর