রবিবার, ২১ জুলাই, ২০১৯ ০০:০০ টা

নয় বছর ধরে বন্ধ দুই ছাত্রাবাস

রাজশাহী পলিটেকনিক

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

শহীদ মোনায়েম ছাত্রাবাসের সামনের আঙিনা ঝোপ-জঙ্গলে ভরা। হাঁটু পর্যন্ত বেড়েছে জঙ্গল। জঙ্গল ডিঙিয়ে ভবনের মূল ফটকের কাছে গেলে চোখে পড়বে লতাপাতা জড়ানো গ্রিল। ভবনের জানালাগুলোয় উইপোকার সারি। ভিতরের আসবাবগুলোতেও আছে উইপোকার বাসা। দীর্ঘ সাড়ে নয় বছর ধরে ছাত্রাবাসটি বন্ধ থাকায় এমন হাল। শুধু শহীদ মোনায়েম ছাত্রাবাস নয়, রাজশাহী সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের তিনটি ছাত্রাবাসের মধ্যে দুটি দীর্ঘ সাড়ে নয় বছর ধরে বন্ধ। এ কারণে সেখানে বসতি গড়েছে উইপোকা আর ঝোপ-জঙ্গল।        অথচ এই প্রতিষ্ঠানে প্রায় ৩ হাজার শিক্ষার্থী। নতুন করে দুই শিফটে ভর্তি হচ্ছেন ৮০০ শিক্ষার্থী। ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ প্রকৌশলী ফরিদ উদ্দিন আহমেদ জানান, তিনি ছাত্রাবাসগুলো খুলে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। কিন্তু তার পক্ষে সম্ভব হয়নি। এখন ছাত্রাবাসগুলোর যে অবস্থা, তাতে মেরামতের জন্য টাকার প্রয়োজন। ৩০ লাখ টাকা চেয়ে একটি প্রস্তাব সরকারের কাছে দেওয়া হয়েছে। টাকা পেলেই কেবল সংস্কার শেষে ছাত্রাবাসগুলো চালু করা সম্ভব। ২০১০ সালের ৭ জানুয়ারি সন্ধ্যায় আধিপত্য বিস্তার ও ভর্তিসংক্রান্ত চাঁদাবাজিতে ছাত্রলীগ ও ছাত্রমৈত্রীর মধ্যে সংঘর্ষে রাজশাহী  পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের কম্পিউটার বিভাগের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী, পলিটেকনিক ছাত্রমৈত্রীর সহসভাপতি রেজওয়ানুল ইসলাম চৌধুরী সানি নিহত হন। এর পরই অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়ে যায় ইনস্টিটিউটটি। কিছুদিন পর প্রতিষ্ঠানটিতে ক্লাস শুরু হলেও আর খোলেনি দুটি আবাসিক ছাত্রাবাস। প্রথমে তিনটি ছাত্রাবাসই বন্ধ ছিল। তবে দুই বছর আগে ছাত্রীদেরটি খুলে দেওয়া হয়। নিহতের ওই ঘটনা তদন্তে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কিন্তু দীর্ঘ সময়েও তদন্ত রিপোর্ট না পাওয়ায় ছাত্রাবাসগুলো খুলে দেওয়া সম্ভব হয়নি। এখন যে অবস্থায় আছে, তাতে ছাত্রাবাসগুলো খুলে দিলেও শিক্ষার্থীরা বসবাস করতে পারবেন না।

 ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ প্রকৌশলী ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ছাত্রাবাসগুলো খুলে দিলেও সেখানে থাকতে পারবে না শিক্ষার্থীরা। কারণ, কোনো আসবাবপত্র নেই। দুটি ছাত্রাবাসের আসবাবপত্র দিয়ে ছাত্রীনিবাসটি খুলে দেওয়া হয়েছে। এখন নতুন করে দুটি ছাত্রাবাসের জন্য আসবাবপত্র কিনতে হবে।

                বন্ধ ছাত্রাবাস খুলতে এরই মধ্যে বেশ কয়েকবার সাধারণ শিক্ষার্থী ও শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সংগঠন অধ্যক্ষের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে। কিন্তু ছাত্রাবাস খুলে দেওয়ার কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর