রবিবার, ২১ জুলাই, ২০১৯ ০০:০০ টা

ময়মনসিংহ বিএনপির মিছিল ২০ গজে এসেছে

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি

দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনগুলোর মিছিল সীমাবদ্ধ ছিল দলীয় কার্যালয় থেকে বিদ্যাময়ী স্কুল পর্যন্ত। ধীরে ধীরে এর ব্যাপ্তি আরও ছোট হয়ে নতুন বাজার মোড় পর্যন্ত আসত। আর এখন ঠেকেছে দলীয় কার্যালয় থেকে ২০ গজের মধ্যে। কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচি ছাড়া ২৪ ঘণ্টা দলীয় কার্যালয়টিও থাকে তালাবদ্ধ। তবে এমন পরিস্থিতির জন্য পুলিশ প্রশাসনকেই দোষারোপ করছে দীর্ঘ ১৩ বছর ক্ষমতার বাইরে থাকা দলটি। শীর্ষ নেতারা  বলছেন, দলীয় কার্যালয়টি পুলিশের অনুমতি ছাড়া খোলা যায় না। সব সময় পুলিশের হস্তক্ষেপ থাকে। কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচি পালন করতে নির্দিষ্ট সময় ও পরিসরও ঠিক করে দেয় প্রশাসন।  ২ জুলাই গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদ ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে ময়মনসিংহে বিক্ষোভ মিছিল করে দক্ষিণ জেলা বিএনপি ও এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন। সেদিনও মাত্র আধা ঘণ্টার জন্য বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করার সুযোগ পায় দলটি। বিক্ষোভ মিছিলটিও সীমাবদ্ধ থাকে ২০ গজের মধ্যে। জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবু ওয়াহাব আকন্দ বলেন, ‘ইচ্ছা থাকলেও নেতা-কর্মীরা একসঙ্গে জড়ো হতে পারে না। আমাদের ৭ থেকে ৮ হাজার নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে। এরপরও মানুষের বৃহৎ স্বার্থের কথা ভেবে রাজপথে নামলে আবারও মামলা-হামলায় পড়তে হচ্ছে।’

মাঠ পর্যায়ের নেতারা বলছেন, সাংগঠনিক কার্যক্রমে অংশ নেওয়া এখন দুরূহ হয়ে পড়েছে। গ্রেফতারের ভয়ে নেতা-কর্মীদের বড় একটি অংশই প্রকাশ্যে আসে না। এমনকি পদ-পদবিও প্রকাশ করছে না। মামলার ঘানি টানতে টানতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন তারা। তাই দলীয় কার্যক্রমও অনেকটা স্তিমিত।

নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক শেখ আমজাদ আলী বলেন, আগের মতো প্রোগ্রাম করার মনমানসিকতা আমাদের প্রত্যেক কর্মীর আছে। কিন্তু দুর্ভাগ্য আমাদের, দলীয় কার্যালয়টিতেও এখন বসতে পারি না আমরা। সব সময়ই পুলিশ পাহারায় থাকে কার্যালয়টি।’

দক্ষিণ জেলা যুবদলের সভাপতি রুকনুজ্জামান সরকার  বলেন, ‘দলীয় কার্যালয়ে যাওয়ার সুযোগ না থাকলেও প্রতিদিন আদালতের বারান্দায় আমাদের প্রত্যেকের সঙ্গে দেখা হয়। বলা যায় আদালতপাড়াও এখন আমাদের ছোটখাটো দলীয় কার্যালয়।’

অন্যদিকে মহানগর ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক তানভীর আহমেদ রবিন জানান, ‘আমাদের ৫৫ সদস্যের কমিটি। ৮টি মামলায় প্রায় ৪০ জন আসামি। এরপরও কৌশলী হয়ে সাংগঠনিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি।’

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর