মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই, ২০১৯ ০০:০০ টা
আয়করের অর্থ আত্মসাৎ

রংপুরে চেক জালিয়াতির ভয়ঙ্কর সিন্ডিকেট

গভীর তদন্তে বাংলাদেশ ব্যাংক, দুদক ও পুলিশ

রুহুল আমিন রাসেল

আয়কর বিভাগের চেক ও পে-অর্ডার জালিয়াতির ভয়ঙ্কর সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে রংপুরে। এই সিন্ডিকেটের সঙ্গে রংপুর কর অঞ্চলের কর্মকর্তা, নিরাপত্তা প্রহরী থেকে শুরু করে ব্যাংক কর্মকর্তারাও জড়িত। সিন্ডিকেট চক্র ৬০ থেকে ৭০টি চেক ও পে-অর্ডার জালিয়াতি করে আয়করের অর্থ আত্মসাৎ করেছে। অবিশ্বাস্য এই ঘটনার গভীর তদন্তে নেমেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিয়ন্ত্রিত বাংলাদেশ ফাইন্যানশিয়াল ইন্টেলিজেন্টস ইউনিট, দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক ও পুলিশ। তথ্য সংশ্লিষ্ট সূত্রের। এ প্রসঙ্গে রংপুর কর অঞ্চলের কমিশনার মো. আবদুল লতিফ গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, চেক জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত সবাইকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জালিয়াতির মাধ্যমে আত্মসাৎ হওয়া অর্থ উদ্ধারে আদালতের নির্দেশনার অপেক্ষায় আছি।

এর আগে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআর চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়ার কাছে চেক ও পে-অর্ডার জালিয়াতির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ সংক্রান্ত বিষয়ে অবহিতকরণ ও পরবর্তী দিকনির্দেশনা চেয়ে প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদন গত ১৫ মে প্রেরণ করেন রংপুর কর অঞ্চলের কমিশনার মো. আবদুল লতিফ। তার স্বাক্ষরিত ওই প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, রংপুর কর অঞ্চলের আওতাধীন উপ-কর কমিশনারের কার্যালয়, সার্কেল- ২০, পঞ্চগড়ের নামে সোনালী ব্যাংক লিমিটেড পঞ্চগড় শাখার চলতি হিসাব নম্বরে ইস্যুকৃত চেক ও পে-অর্ডার ব্যবহার করে বিভিন্ন সময়ে জালিয়াতির মাধ্যমে অর্থ উত্তোলন ও আত্মসাতের ঘটনা ঘটেছে। এমন একটি ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে গত ৫ মে ১ কোটি ৫৯ লাখ ৫৮ হাজার ৩৮৮ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে রংপুর কর অঞ্চলের অতিরিক্ত কমিশনার শেখ মো. মুনিরুজ্জামানকে প্রাথমিক তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ প্রদান করা হয়।

পরে গত ১৪ মে লিখিত প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, চেক জালিয়াতির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের সঙ্গে জড়িত রয়েছে পঞ্চগড় উপ-কর কমিশনারের কার্যালয়, সার্কেল-২০ এর সাঁটমুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার অপারেটর মো. ওবায়দুর রহমান, উচ্চমান সহকারী মো. ফিরোজ জামান, মো. মাসুদ রানা ও রফিকুল ইসলাম, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক মো. জালাল উদ্দিন ও নিরাপত্তা প্রহরী মো. রাজেকুল ইসলাম। এ তদন্ত প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে অভিযুক্তদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ছাড়াও চেক জালিয়াতির বিষয়ে ইতিমধ্যে পঞ্চগড় কোতোয়ালি থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।

ওই জিডির পর চেক জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত আসামিদের গ্রেফতার করা হয় বলে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানিয়েছেন রংপুর কর অঞ্চলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর