বুধবার, ২৪ জুলাই, ২০১৯ ০০:০০ টা

তেরো খালের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে সেনাবাহিনী

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

জলাবদ্ধতা সংকট থেকে উত্তরণে নগরের ১৩টি খালের ওপর গড়ে ওঠা ১ হাজার ৫৭৬টি অবৈধ স্থাপনা আগস্টের মধ্যে উচ্ছেদ করা হবে। এ লক্ষ্যে কাজ শুরু করেছে সেনাবাহিনী। ইতিমধ্যে রাজাখালী খাল-২ ও নোয়াখালের বেদখল জমি উদ্ধার করা হয়েছে। বিএস খতিয়ান অনুযায়ী রাজাখালের ৭ দশমিক ৩৩৫ একর জায়গা বেদখল। খালটির ওপর অবৈধ স্থাপনা ২০টি।

ইতিমধ্যে এসব স্থাপনা উচ্ছেদ শেষে বেদখল জমি উদ্ধার করা হয়েছে। অন্যদিকে নোয়াখালের ওপর থেকে বিএস খতিয়ান অনুযায়ী খালের ৬ দশমিক ৫৯৬ একর জায়গা দখল করে গড়ে তোলা ১৭৫টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ শেষে বেদখল জমি উদ্ধার করা         হয়েছে। সোমবার থেকে চাকতাই খালে অভিযান শুরু হয়েছে।

সেনাবাহিনীর প্রকল্প পরিচালক লে. কর্নেল শাহ আলী বলেন, আগস্টের মধ্যে ১৩টি খালের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের লক্ষ্য রয়েছে। দখলমুক্ত হলে শুষ্ক মৌসুমে এসব খাল থেকে মাটি উত্তোলন, রিটেইনিং ওয়াল ও রাস্তা নির্মাণসহ সব কাজ সম্পন্ন করা হবে।

চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রকল্প পরিচালক ও নির্বাহী প্রকৌশলী আহমেদ মাঈনুদ্দীন বলেন, প্রকল্পের আওতায় ৩৬টি খালের কাজ হবে। প্রথম ধাপে ১৩টি খালে কাজ চলছে। প্রকল্পের পরামর্শক প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্টাল অ্যান্ড জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সার্ভিসেস (সিইজিআইএস) ইতিমধ্যে ১৩টি খালের নকশা প্রণয়ন করেছে। এর মধ্যে গয়নার ছড়া খালে সর্বোচ্চ ৪৫৩টি অবৈধ স্থাপনা চিহ্নিত হয়েছে।

ডিপিপি অনুযায়ী গৃহীত এ মেগা প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় ৫ হাজার ৬১৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা। তিন বছর মেয়াদি এ প্রকল্পে প্রাথমিক পর্যায়ে ২০১৮ সালে ৩৬টি খালের মাটি অপসারণসহ ৩০০ কিলোমিটার নতুন ড্রেন নির্মাণ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়।

সর্বশেষ খবর