আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, সাম্প্রতিক ঘন ঘন অগ্নিকা-, ধর্ষণ ও গণপিটুনির ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখা হবে। যে কোনো ঘটনার একটা স্বাভাবিকতা আছে আর একটা অস্বাভাবিকতা আছে।
গতকাল সোনারগাঁও হোটেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আয়োজিত জাতিসংঘ নির্যাতনবিরোধী কনভেনশন (ইউএনসিএটি) বিষয়ে আলোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, আপনারা যদি আগুন লাগার ঘটনা দেখে থাকেন। তাহলে দেখবেন, এটা কন্টিনিউয়াস ঘটতে থাকল। তারপর ধর্ষণের ঘটনা কন্টিনিউয়াস ঘটতে থাকল। এখন গণপিটুনির ঘটনা ঘটছে। দুই-একটা দুর্ঘটনা হলে ঠিক আছে। কিন্তু পরিসংখ্যান বলছে ১১-১২টা হয়েছে। এটা অস্বাভাবিক। যেখানে গত বছর একটাও গণপিটুনির ঘটনা নেই, সেখানে হঠাৎ এক মাসে, সাত দিনের মধ্যে ১১টা গণপিটুনির ঘটনা ঘটে গেল। তার মানে এখানে যেটা আমরা তদন্ত করতে চাচ্ছি, যেটা আমরা এত বলতে চাচ্ছি না। আমি যা বলেছি, তা হচ্ছে এই অ্যাংগেলেও আমরা তদন্ত করব। গণপিটুনির ঘটনায় যাদের ধরা হচ্ছে তাদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনা হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এদের বিচারের আওতায় আনা হবে। দেশের প্রচলিত আইনে যে বিচার তাদের হওয়া উচিত সেই বিচার হবে।এর আগে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইনমন্ত্রী বলেন, দেশে বিচারবহির্ভূত হত্যার পরিমাণ কমেছে। একটাও যাতে বিচারবহির্ভূত হত্যা না হয়, আমরা সেদিকেই অগ্রসর হচ্ছি। নির্যাতন বন্ধে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। ফলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন স্থানে নির্যাতন কমেছে। এই দেশে বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে বের হওয়ার ব্যবস্থা প্রথমে শেখ হাসিনাই নিয়েছেন। তিনি এই দেশে অবশ্যই আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করে যাবেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. শহিদুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আইন মন্ত্রণালয়ের অধীন লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ শহিদুল হক বক্তৃতা করেন।
