রবিবার, ২৮ জুলাই, ২০১৯ ০০:০০ টা

আখতারের কর্মশালা না হলেও হচ্ছে ‘আইটি সোসাইটি’র

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ-‘ডাকসু’র সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেন গত ১৬ জুলাই থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়েদের হলে ‘অ্যাওয়ারনেস ক্যাম্পেইন অন সাইবার সেফটি অ্যান্ড ৯৯৯’ শীর্ষক একটি কর্মশালা আয়োজন করেছিলেন। তবে, সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেও শেষ পর্যন্ত ওই অনুষ্ঠান আয়োজনে ব্যর্থ হন তিনি।

কিন্তু শনিবার একই বিষয়ে ‘সাইবার সিকিউরিটি অ্যাওয়ারনেস ফর ওয়েমেন ইম্পাওয়ারমেন্ট’ নামে মেয়েদের হলগুলোতে কর্মশালা আয়োজন          করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আইটি সোসাইটি। এতে হল প্রশাসনের অনুমোদন পাওয়ার পাশাপাশি ডাকসুর সহযোগিতাও পাচ্ছে তারা। ইতিমধ্যেই রোকেয়া হলে প্রোগ্রাম সম্পন্ন করেছে আইটি সোসাইটি। এ নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন আখতার হোসেনসহ সাধারণ শিক্ষার্থীরা। আখতার বলেন, আমি যখন রোকেয়া হলে প্রোগ্রাম আয়োজন করতে যাই, তখন হল প্রশাসন থেকে বলা হয়, তারা ‘অ্যাভেইল্যাবল’ না। এ নিয়ে ডাকসু জিএসের পরামর্শে এজিএস সাদ্দাম হোসেনকে বারবার ফোন করে পাইনি। ফলে প্রোগ্রামটি আয়োজনে ব্যর্থ হই।’ আখতারের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন আয়োজন হওয়া উচিত, সেটা যারাই আয়োজন করুক না কেন। কিন্তু প্রশাসনের কাছে আমার প্রশ্ন, একই বিষয়ে আমার প্রোগ্রামটি কেন করতে দেওয়া হলো না? আর এখন আইটি সোসাইটিকেই বা কেন করতে দেওয়া হচ্ছে? এ নিয়ে ডাকসুর সভায় অভিযোগ করবেন বলেও জানান তিনি। জানা গেছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আইটি সোসাইটি শনিবার রোকেয়া হল, ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল ও কুয়েত-মৈত্রী হলে কর্মশালা আয়োজন করেছে। আগামী ২৯ জুলাই শামসুন্নাহার এবং ৩০ জুলাই সুফিয়া কামাল হলে কর্মশালা অনুষ্ঠিত হবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আইটি সোসাইটির সভাপতি দেবরাজ দেব বলেন, এ ব্যাপারে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নিয়েছি। হল প্রশাসনের অনুমোদন আছে। ডাকসুর তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক আরিফ ইবনে আলীও আমাদের সহযোগিতা করছেন।

জানা গেছে, তবে ১৭ জুলাই ডাকসুর সমাজসেবা সম্পাদক রোকেয়া হলে কর্মশালা আয়োজনে প্রথম দফা অনুমতি নিয়েও শেষ পর্যন্ত তা করতে পারেননি। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ওই দিন দুপুর রোকেয়া হলের প্রাধ্যক্ষ ম্যামকে ফোন দিলে তিনি ও হলের ভিপি, জিএস ‘অ্যাভেইল্যাবল’ না বলে জানান। এ কারণে প্রোগ্রামটি করতে পারিনি। সাদ্দাম হোসেনকে ফোন দিলেও তিনি বলেন, ‘মেয়েদের হলে প্রোগ্রামে কিছু সমস্যা আছে। এটা মেনে নেওয়া যায় না।’

এ ব্যাপারে হল প্রাধ্যক্ষ ড. জিনাত হুদাকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, ‘ওই দিন আমার আপন খালাতো বোন মারা গিয়েছিল। তাই আমার পক্ষে প্রোগ্রাম করার কোনো সুযোগ ছিল না। আমি আখতারকে বলেছিলাম, হল সংসদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে। তারা তখন বলেছে, তারা ব্যস্ত আছে, প্রোগ্রাম করতে পারবে না।’

আইটি সোসাইটি কর্মশালা করতে পারলেও মেয়েদের হলে কী সমস্যা থাকায় ডাকসুর সমাজসেবা সম্পাদক তা করতে পারেননি এ নিয়ে কথা বলতে ডাকসুর এজিএস সাদ্দামকে হোসেনকে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

তবে, আখতার হোসেন মনে করেন, ‘মেয়েদের হলগুলোতে আমাদের জনপ্রিয়তা আছে। প্রোগ্রামটি করতে পারলে জনপ্রিয়তা আরও বাড়ত। হয়তো এ আশঙ্কায় প্রোগ্রাম করতে দেওয়া হয়নি।’

সর্বশেষ খবর