বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেছেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নিজেদের অপকর্ম বিএনপি নেতা-কর্মীদের ওপর চাপাচ্ছে। তিনি বলেন, ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মানুষ যখন মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছে, ডেঙ্গুর ব্যাপক বিস্তারে দেশবাসী যখন ভয়ে শঙ্কিত, তখন এই ভয়ঙ্কর মহামারী মোকাবিলায় সরকারের মাথাব্যথা নেই। গতকাল সকালে নয়াপল্টনে বিক্ষোভ মিছিল শেষে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন। মিছিলটি নয়াপল্টনের বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হয়ে নাইটিঙ্গেল মোড় ঘুরে আবারও বিএনপি কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে এ মিছিলের আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী মহিলা দল। এ সময় সভাপতি আফরোজা আব্বাস এবং সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদসহ সংগঠনের বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন। বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, দেশব্যাপী খুন, নারী-শিশু ধর্ষণ এবং ডেঙ্গুর ভয়াবহ প্রকোপ সব কিছুকেই সরকারের মন্ত্রী-নেতারা গুজব বলছেন। বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়কে গুজব ছড়ানোর কারখানাও বলা হচ্ছে।
তিনি বলেন, আমরা এমন এক নিপীড়ক সরকারের অধীনে বাস করছি, যাদের মানবিকতা নেই, জনগণের প্রতি ন্যূনতম ভালোবাসা ও দায়িত্ববোধ নেই, আছে শুধু চোখ রাঙানি ও অবৈধ ক্ষমতার দাপট। প্রকৃতপক্ষে জনগণের ভোটে নয়, বরং নির্বাচন কমিশন, জনপ্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কব্জায় নিয়ে ৩০ ডিসেম্বরের আগের রাতে ভোট চুরির মাধ্যমে জোর করে যারা রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে, তাদের কাছে জনস্বার্থের কিবা মূল্য আছে। তিনি বলেন, আওয়ামী সরকারের জুলুম থেকে রক্ষা পেতে জনগণ রাজপথে ধেয়ে আসছে। রিজভী বলেন, মশা নিধনে কোটি কোটি টাকা খরচ করা হচ্ছে। অথচ সিটি করপোরেশনের ওষুধে মশা মরছে না। তিনি বলেন, সরকারের রোষানলের শিকার বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। এ সরকারের কাছে প্রতিহিংসার রাজনীতিই মুখ্য। তাই ব্যক্তিগত আক্রোশের শিকার বেগম খালেদা জিয়াকে অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তি দেওয়া না হলে পরিণতি শুভ হবে না।
