উৎপাদিত পণ্য বিক্রি না হওয়া, শ্রমিকদের বকেয়া মজুরি ও কাঁচামাল সংকটের কারণে খুলনা-যশোর অঞ্চলের রাষ্ট্রায়ত্ত ৯টি পাটকলে ফের অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে। এরই মধ্যে মিলের স্বাভাবিক উৎপাদন কমে প্রায় ৩৫ শতাংশে নেমে গেছে। বকেয়া মজুরি না পেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন মিলের প্রায় ২৯ হাজার শ্রমিক। বাংলাদেশ জুট মিলস্ করপোরেশনের (বিজেএমসি) তথ্য অনুযায়ী, খুলনার রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলগুলোতে ৩১ হাজার ৩৬৫ মেট্রিক টন পাটপণ্য অবিক্রীত রয়েছে। যার বাজার মূল্য প্রায় ৩০০ কোটি টাকা। চাহিদা না থাকায় গত এক বছর ধরে সুদান, ইরান, আফগানিস্তান, সৌদি আরব ও ঘানায় পাটপণ্য রপ্তানি বন্ধ রয়েছে। একই সঙ্গে মিলগুলোতে নগদ অর্থের অভাবে শ্রমিকদের মজুরি দিতে পারছে না। বিজেএমসির আঞ্চলিক সমন্বয়কারী মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, খুলনা অঞ্চলের রাষ্ট্রায়ত্ত ৯টি পাটকলে স্থায়ী ১১ হাজার ২৫২ জন ও অস্থায়ী শ্রমিক রয়েছেন ১৮ হাজারের মতো। কিন্তু উৎপাদিত পণ্য বিক্রি না হওয়ায় ও কাঁচামাল সংকটে বর্তমানে মিলে শুধু স্থায়ী শ্রমিকরাই কাজ করছেন। ফলে মিলের উৎপাদন স্বাভাবিক সক্ষমতার তুলনায় ৬৫ থেকে ৭০ শতাংশ কমেছে। তিনি বলেন, শ্রমিকদের ৫ সপ্তাহের মজুরি প্রায় ২০ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে। ঈদের আগে বকেয়া মজুরি পরিশোধের নির্দেশনা পাওয়া যায়নি। এদিকে ক্রিসেন্ট জুট মিলের সিবিএ সাধারণ সম্পাদক মো. সোহরাব হোসেন জানান, শ্রমিকদের দাবি আদায়ে দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রাম করলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি। বর্তমানে মিলগুলোতে ৫ সপ্তাহের মজুরি বকেয়া পড়েছে। ফলে পরিবার-পরিজন নিয়ে সবাইকে মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে।