শুক্রবার, ৯ আগস্ট, ২০১৯ ০০:০০ টা

নগর ভবন অপরিচ্ছন্ন রেখে মশক নিধনে সিসিক

শাহ্ দিদার আলম নবেল, সিলেট

ঢাকঢোল পিটিয়ে প্রায় প্রতিদিনই নগরীতে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম ও মশক নিধন অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক)। মশক নিধনে নিজেদের সফলও দাবি করছেন সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী ও নগরভবন কর্মকর্তারা। অথচ খোদ নগরভবনকেই বানিয়ে রাখা হয়েছে এডিস মশার প্রজনন ও আবাসস্থলের উপযোগী। দীর্ঘদিন ধরে আন্ডারগ্রাউন্ডে পানি জমে থাকলেও তা পরিষ্কারের কোনো উদ্যোগ নেয়নি সিটি করপোরেশন। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনের পক্ষ থেকে বিষয়টি সিটি মেয়র ও প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তার নজরে আনা হলে শুরু হয় তোড়জোড়। শ্রমিক লাগিয়ে শুরু হয় পরিচ্ছন্নতা ও পানি নিষ্কাশনের কার্যক্রম। নগরভবনের আন্ডারগ্রাউন্ডে পানি জমে থাকার বিষয়ে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী জানান, নগরভবনের কাজ অসম্পূর্ণ থাকায় উপর থেকে পানি পড়ে আন্ডারগ্রাউন্ডে জমা হয়। কিন্তু এভাবে পানি জমে থাকা বা অপরিচ্ছন্ন থাকার কথা নয়। আন্ডারগ্রাউন্ড পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য নির্দিষ্ট লোক রয়েছে। তিনি নগরভবনের এমন অবস্থার জন্য দুঃখপ্রকাশ করে বলেন, যাদের দায়িত্বহীনতার কারণে নগরভবনের আন্ডারগ্রাউন্ডের এমন অবস্থা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রসঙ্গত, গত ২৫ জুলাই থেকে সারা দেশে শুরু হয় পরিচ্ছন্নতা ও মশক নিধন কার্যক্রম। ওইদিন থেকে সিলেট সিটি করপোরেশনও মাঠে নামে আনুষ্ঠানিকভাবে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমে। সিসিক’র স্বাস্থ্য শাখার দেওয়া তথ্য মতে, মশক নিধনের জন্য প্রতিদিন ৬০ জন কর্মী নগরীতে কাজ করছেন। নগরীর পাড়া-মহল্লায় গিয়ে ছিটানো হচ্ছে ওষুধ। বাসা-বাড়িতে যাতে এডিস মশার বিস্তার ঘটতে না পারে সে জন্য মানুষকে সচেতন করতে চলছে নানা কার্যক্রম। কেউ বাসা-বাড়ির আঙ্গিনা অপরিচ্ছন্ন রাখলে তাকে জরিমানা করারও ঘোষণা দেন মেয়র। গতকালও এডিস মশার বিস্তার রোধে সচেতনতামূলক বিশাল শোডাউন করেন মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী ও নগরভবনের কর্মকর্তারা।

সর্বশেষ খবর