শুক্রবার, ৯ আগস্ট, ২০১৯ ০০:০০ টা

এক আইনজীবীর অদ্ভুত কান্ড ঘিরে চলছে নানা কথা

বগুড়ায় হত্যা মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া

বগুড়ায় জোবেদা হত্যা মামলার এক আসামির মঙ্গলচিন্তায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জেলা জজ আদালতের অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট শাহাদৎ হোসেন যে কাজ করলেন তাকে ঘিরে চলছে নানা কথা। এই মামলার আসামি সানোয়ারুল ইসলাম ছানা ১৪ বছর ধরে পলাতক। এপিপি শাহাদাৎ গত ১৮ এপ্রিল ছানার পক্ষ নিয়ে সাক্ষীদেরকে ফের জেরার অনুমতির জন্য অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-২-এর বিচারক ইশরাত জাহানের কাছে আবেদন জানান। আবেদনপত্রটি তিনি নিজ হাতে লিখে স্বাক্ষর করেন। ১ আগস্ট আবেদনটি বিচারকের দৃষ্টিগোচর হলে তিনি রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীর এমন ভূমিকা দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। একই সঙ্গে সেই আবেদনটি না মঞ্জুর করে দেন। জানা যাায়, ২০০৫       সালে সারিয়াকান্দি উপজেলার নারচি তরফদারপাড়া গ্রামে গৃহবধূ জোবেদাকে হত্যার পর লাশ গুম করা হয়। পরে এ ব্যাপারে তার ভাই মোকলেছার রহমান বাদী হয়ে ৮ জনকে আসামি করে থানায় হত্যা মামলা করেন। তদন্ত শেষে ২০০৭ সালের ২৪ জানুয়ারি আদালতে ৫জন আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করা হয়। সেই সময় থেকেই মামলাটি বিচারাধীন। ৫জন আসামির মধ্যে অকি প্রমাণিক, গোকুল প্রমাণিক, অহিদুল প্রমাণিক ও আব্দুল বাসেদ মোল্লা বিভিন্ন সময়ে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়। পরে তারা জামিনে মুক্তি পান। কিন্তু শুরু থেকেই আসামি ছানোয়ারুল ইসলাম ছানা পলাতক। ১৪ বছর চেষ্টা করেও পুলিশ তাকে গ্রেফতার করতে পারেনি। তাই তার অনুপস্থিতিতেই বিচার কাজ শেষ করার নির্দেশ দেয় আদালত। এখন এই মামলাটির রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জেলা জজ আদালতের অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট শাহাদৎ হোসেন চূড়ান্ত রায়ের অপেক্ষায় রয়েছে। অ্যাডভোকেট শাহাদৎ হোসেন পলাতক আসামি ছানার পক্ষ নিয়ে এক আবেদনে বলেন, পলাতক আসামি ক্ষতির কথা চিন্তা করে ১২ জন সাক্ষীকে আবারও জেরা করা প্রয়োজন। জেরা করা না হলে ওই আসামির ক্ষতির কারণ ঘটবে। জানতে চাইলে বগুড়ার ভারপ্রাপ্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) নুরুস সালাম সাগর বলেন, এটা একেবারেই অন্যায় একটি কাজ। রাষ্ট্রপক্ষের পিপি আসামি পক্ষ নিয়ে অন্যায় কাজ করার কোনো সুযোগ নেই। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে। অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট শাহাদৎ হোসেন বলেন, ভুলবশত জমা দেওয়া হয়েছিল। এ জন্য আদালতে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছি।

সর্বশেষ খবর