বিশ্বখ্যাত কোকাকোলা কোম্পানি আগামী ৫ বছরে বাংলাদেশে ২০ কোটি ডলারের সমান প্রায় ১৭০০ কোটি টাকা বিনিয়োগে আগ্রহী। এজন্য কোম্পানিটি কিছু কর সুবিধাও চেয়েছে। গতকাল সচিবালয়ে কোকাকোলার প্রেসিডেন্ট ও প্রধান অপারেটিং কর্মকর্তা ব্রেইন জন স্মিথ অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকালে এ আগ্রহের কথা জানান। পরে অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বাংলাদেশ ক্রমাগতভাবে অর্থনৈতিক খাতে উন্নতি সাধন করে চলেছে। চলতি অর্থবছরেই আমরা ৮ দশমিক ২৫ শতাংশ থেকে ৮ দশমিক ৩০ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জনের প্রত্যাশা করছি, যা ২০২৪ সাল নাগাদ দাঁড়াবে ১০ শতাংশ এবং সেটা অব্যাহত থাকবে। বিশ্বে যে কয়েকটি দেশের রপ্তানি আয় খুব দ্রুত বাড়ছে, তার মধ্যে বাংলাদেশ একটি। গড় হিসাবে এক দশক ধরে দেশের রপ্তানি আয়ে দুই অঙ্কের প্রবৃদ্ধি হচ্ছে। এক্ষেত্রে অগ্রসরমান অর্থনীতির দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয়। ওপরে আছে কেবল ভিয়েতনাম। বিশ্ববাণিজ্যের এ চিত্র উঠে এসেছে বিশ্ববাণিজ্য সংস্থার ‘ওয়ার্ল্ড ট্রেড স্ট্যাটিস্টিক্যাল রিভিউ-২০১৯’ শীর্ষক প্রতিবেদনে। এটি গত সপ্তাহে প্রকাশ করা হয়। সব মিলিয়ে বিশ্ববাণিজ্যে বাংলাদেশ এখন ৪২তম বড় রপ্তানিকারক দেশ, অন্যদিকে আমদানিতে বাংলাদেশের অবস্থান ৩০তম। সুতরাং বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশ অত্যন্ত সুন্দর এবং অপার সম্ভাবনার দেশ। কোকাকোলার প্রেসিডেন্ট ও প্রধান অপারেটিং অফিসার ব্রেইন জন স্মিথ বাংলাদেশে আগামী ৫ বছরে ২০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করার প্রস্তাব করেন। পাশাপাশি তিনি বর্তমান কর ব্যবস্থায় বিদ্যমান সম্পূরক কর ও মূল্য সংযোজন কর হ্রাস করা যায় কিনা সেই বিষয় বিবেচনা করার বিষয়টি আলোচনা করেন।
অর্থমন্ত্রী কোকাকোলাকে আরও অধিক বিনিয়োগ করার আহ্বান করে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ এবং পুঁজিবাজারে নিবন্ধনের জন্য পরামর্শ দেন। অধিক বিনিয়োগ সম্পৃক্তকরণের মাধ্যমে কোকাকোলার সম্পূরক কর হ্রাস করার বিষয়টি বিবেচনা করা হবে বলে আশ্বস্ত করেন। মন্ত্রী জানান, কোকাকোলার ২০ কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করলে বিশাল জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে।
