শিরোনাম
শনিবার, ১০ আগস্ট, ২০১৯ ০০:০০ টা

অর্থ সংকটে রাজশাহীর চামড়া ব্যবসায়ীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

অর্থ সংকটে রাজশাহীর চামড়া ব্যবসায়ীরা

৫০ বছরের মধ্যে চামড়া ব্যবসায়ীরা এমন বেহাল অবস্থার মধ্যে আগে কখনো পড়েননি। ট্যানারি মালিকরা ব্যবসায়ীদের টাকা দিচ্ছেন না। রাজশাহী অঞ্চলে আগে ১২৭ জন ব্যবসায়ী থাকলেও বর্তমানে ব্যবসা করছেন মাত্র ৮/১০ জন। তাদের কাছেও টাকা নেই।

নিজের প্রায় ৮ কোটি টাকা বিভিন্ন ট্যানারিতে পাওনা থাকলেও এবারের ঈদে কোরবানির চামড়া কেনার টাকা নেই জানিয়ে রাজশাহী জেলা চামড়া ব্যবসায়ী গ্রুপের সভাপতি আসাদুজ্জামান মাসুদ বলেন, ‘ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা ট্যানারি ও বড় বড় চামড়ার আড়তে বাকিতে চামড়া দিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। এই টাকা কবে নাগাদ আসবে তারও নিশ্চয়তা নাই। পুঁজি হারিয়ে অনেকেই ব্যবসা গুটিয়ে নিয়েছেন। আমার মতো অনেকেই কোনো রকমে ভবিষ্যতের আশায় এখনো বসে আছেন।’ গত কয়েক বছর থেকেই কমেছে চামড়ার দাম। সরকারের বেঁধে দেওয়া দামে সন্তুষ্ট নন রাজশাহীর চামড়া ব্যবসায়ীরা। এছাড়া গত চার বছরে ট্যানারি মালিকদের কাছে রাজশাহীর চামড়া ব্যবসায়ীদের বকেয়া পাওনা আছে প্রায় ২০ কোটি টাকা। সবমিলিয়ে রাজশাহীর চামড়া ব্যবসায়ীরা আর্থিক সংকটে আছেন। পাশাপাশি সরকার নির্ধারিত চামড়ার দাম কম হওয়ায় দুশ্চিন্তায় আছেন রাজশাহী অঞ্চলের চামড়া ব্যবসায়ীরা। চামড়া ব্যবসায়ী হাসান আলী বলেন, ২০১৪ সালের দিকে যে চামড়া ২ হাজার ৫০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে, ওই মানের চামড়া বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ১০০০-১২০০ টাকা। ট্যানারি ব্যবসায়ীর কাছে তার পাওনা আছে প্রায় ৪০ লাখ টাকা। রাজশাহীর চামড়া ব্যবসায়ীরা ট্যানারি মালিকদের কাছে ২০১৫ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত চার বছরের বকেয়া বাবদ প্রায় ১৫ কোটি টাকা পাবেন। এছাড়া চামড়ার দাম নির্ধারণের পরও সেই দামে চামড়া কেনেন না ট্যানারি মালিকরা। ফলে চামড়া নিয়ে অনেকটা বিপাকে পড়তে হয়। রাজশাহী জেলা চামড়া ব্যবসায়ী গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক আবদুর রউফ বলেন, রোজার ঈদের পর থেকে চামড়ার দাম আরও কমে গেছে। বর্তমানে গরুর চামড়া প্রতি বর্গফুট বিক্রি হচ্ছে ২৫-৩০ টাকা। বড় ছাগল-ভেড়ার চামড়া বিক্রি হচ্ছে সর্বোচ্চ ১০-১২ টাকা। সরকার নির্ধারিত দাম নগদে পাওয়া গেলেও ভালো। এ অবস্থায় কোরবানির ঈদে চামড়া ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন বলে আশঙ্কা তার।

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর