শুক্রবার, ১৬ আগস্ট, ২০১৯ ০০:০০ টা

রোহিঙ্গাদের দখলে উখিয়া-টেকনাফের সাড়ে ৬ হাজার একর ভূমি

ধ্বংস হচ্ছে পরিবেশ জীববৈচিত্র্য

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলার সাড়ে ছয় হাজার একর ভূমি চলে গেছে রোহিঙ্গাদের দখলে। মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্যাতনের মুখে পালিয়ে এসে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের জন্য সরকারের বন বিভাগ তিন হাজার একর পাহাড়ি বনভূমি ছেড়ে দিলেও প্রকৃত অর্থে এর পরিমাণ অনেক বেশি। এ ছাড়া পাহাড়ি বনভূমির পাশাপাশি মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিকরা দখলে নিয়েছে এখানকার কিছু সমতল ও আবাদি জমি। ফলে স্থানীয়দের সঙ্গে জমি নিয়ে রোহিঙ্গাদের শুরু হয়েছে বিরোধ ও অসন্তোষ। ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে চলতি বছর ৩০ জুন পর্যন্ত কক্সবাজারে আশ্রিত নিবন্ধিত রোহিঙ্গার সংখ্যা ১১ লাখ ১৮ হাজার ৫৭৬ জন। এর আগে থেকে উখিয়ার কুতুপালং ও টেকনাফের লেদা ও মুছনী এলকায় নিবন্ধিত ও অনিবন্ধিত ক্যাম্পে আশ্রিত রয়েছে লক্ষাধিক পুরনো রোহিঙ্গা। কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে সম্প্রতি চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ে পাঠানো এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। জানা যায়, উখিয়ার কুতুপালং, বালুখালী, থাইংখালীর বিস্তীর্ণ     বনভূমি ও পাহাড়ি এলাকায় অধিকাংশ রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছে। পাশাপাশি টেকনাফের লেদা, মুছনী, জামতলী বাজার, উনচিপ্রাংসহ অন্যান্য এলাকায় রোহিঙ্গাদের অস্থায়ীভাবে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। অস্থায়ীভাবে এখানে তাদের জন্য শেল্টার নির্মাণ, স্যানিটেশন, বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ, স্বাস্থ্যসেবার ব্যবস্থা চালু রয়েছে। সবচেয়ে বড় যে কাজটি, সেটি হচ্ছে এই লাখ লাখ রোহিঙ্গা নাগরিকের জন্য নিয়মিত ত্রাণ কার্যক্রমসহ মানবিক সহায়তা ও নিরাপত্তা বিধান করা। এটি করে আসছে দেশি-বিদেশি দুই শতাধিক এনজিও। এদিকে কক্সবাজারের এসব এলাকার পরিবেশ সংরক্ষণ ও জীববৈচিত্র্যের যে ক্ষতিসাধন হয়ে যাচ্ছে সেদিকে কোনো প্রতিষ্ঠানের তেমন কোনো নজর নেই বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় পরিবেশবাদী সংগঠনের প্রতিনিধিরা। এদিকে উখিয়া-টেকনাফ ছাড়াও বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তমব্রু সীমান্তের শূন্যরেখায় বাংলাদেশ অংশে কয়েকশ একর জায়গাজুড়ে বসবাস করে আসছে আরও প্রায় ২৪ হাজার রোহিঙ্গা। এ ছাড়া বান্দরবানের আরও কিছু সীমান্তবর্তী এলাকায়ও কিছু রোহিঙ্গার আশ্রয় নিয়েছে।

 

সর্বশেষ খবর