শিরোনাম
শনিবার, ১৭ আগস্ট, ২০১৯ ০০:০০ টা

দ্বন্দ্ব চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা নেতৃত্বে

বাঁশখালী আওয়ামী লীগের কমিটি ২৩ বছর আগের

সাইদুল ইসলাম, চট্টগ্রাম

দ্বন্দ্ব চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা নেতৃত্বে

উপজেলা কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে। বাঁশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে ১৫ আগস্ট বাঁশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের শোক সভায় জেলার নেতাদের অতিথি করা হলেও উপস্থিত হননি জেলার সাধারণ সম্পাদকসহ কয়েকজন শীর্ষনেতা। একই সঙ্গে বাঁশখালীর সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী সম্প্রতি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে নিয়ে বিভিন্ন কটূক্তির বিষয়টিও ব্যাপক আলোচনায় আছে নেতা-কর্মীদের মাঝে। অন্যদিকে দীর্ঘ ২৩ বছর আগে করা কমিটি দিয়ে চলছে বাঁশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যক্রম। দীর্ঘদিনের পুরনো এ কমিটির ৫১ সদস্যের মধ্যে রাজনীতিতে সক্রিয় আছেন মাত্র ৫ থেকে ৭ জন। দীর্ঘদিন ধরে কমিটি না হওয়া সাংগঠনিক স্থবিরতা বিরাজ করছে উপজেলা আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে। জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে শোক দিবসের বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি দেওয়া হলেও বিভিন্ন ইস্যুকে কেন্দ্র করে জেলার সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের মধ্যে সুন্দর সম্পর্কের টানাপড়েন পড়ে। এ নিয়ে জেলা ও উপজেলার শীর্ষ নেতাদের মধ্যেও প্রভাব পড়ছে বলে নেতা-কর্মীদের মধ্যে আলোচনায় আছে। চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ২৩ বছর আগে বাঁশখালীতে আওয়ামী লীগের কমিটি গঠন করা হয়েছিল। আমরা জেলা আওয়ামী লীগের সভায় নতুন কমিটি গঠন করার প্রস্তাব তুলেছি। সভায় সব সদস্য নতুন কমিটি গঠনের পক্ষে মতামত দিয়েছেন। কিন্তু সিদ্ধান্তটি বাস্তবায়ন করা যাচ্ছে না ‘অদৃশ্য’ কারণে। তবে বাঁশখালীতে নামমাত্র যে কমিটির কথা বলা হচ্ছে তার কোনো ভিত্তি নেই। তাই অনুষ্ঠানে যায়নি।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির দুটি সভায় বাঁশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের দাবি করা পুরনো কমিটি ভেঙে দিয়ে নতুন কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ দুই নেতার মধ্যে মতবিরোধ দেখা দিয়েছে। গত ১৫ আগস্ট বাঁশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের ব্যানারে শোক দিবসের আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এতে জেলার দুই নেতা সভাপতি মোসলেম উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমানকে অতিথি করা হলেও              জাননি সাধারণ সম্পাদক। তাছাড়া এ মতবিরোধের কারণে উপজেলা ও জেলার অনেক নেতাও অংশ নেননি এ শোক সভায়। দলীয় সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৬ সালে নাপোড়া সম্মেলনের পর মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীকে সভাপতি ও খোরশেদ আলম চৌধুরীকে সাধারণ সম্পাদক করে ৫১ সদস্যের বাঁশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটি গঠন করা হয়। পরবর্তীতে ‘দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের’ অভিযোগে সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলম চৌধুরী, যুগ্ম সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক রণতোষ এবং রেহানকে বহিষ্কার করা হয়। পরে অ্যাডভোকেট সুলতানুল কবির চৌধুরী তার বাড়িতে বসে এম এ গফুরকে সাধারণ সম্পাদক, মো. এনামকে যুগ্ম সম্পাদক এবং মহিউদ্দিন খোকাকে সাংগঠনিক সম্পাদক ঘোষণা করেন। ৫১ সদস্য কমিটির যুগ্ম সম্পাদক মো. এনামসহ বেশ কয়েকজন নেতা মারাও গেছেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর