শনিবার, ১৭ আগস্ট, ২০১৯ ০০:০০ টা

রূপনগর বস্তিতে ভয়াবহ আগুন

নিজস্ব প্রতিবেদক

রূপনগর বস্তিতে ভয়াবহ আগুন

রাজধানীর মিরপুরের ঝিলপাড় বস্তিতে গতকাল রাতে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে -বাংলাদেশ প্রতিদিন

ভয়াবহ আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে রাজধানীর মিরপুরে চলন্তিকা মোড়ের ঝিলপাড় বস্তির তিন হাজার ঘর। গত রাত সাড়ে ১০টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের ২৪টি ইউনিটের দুই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। সন্ধ্যা ৭টা ২২ মিনিটে আগুনের সূত্রপাত। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ২১টি ইউনিট পর্যায়ক্রমে ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। তবে কীভাবে এই আগুনের সূত্রপাত তা নিশ্চিত করে জানাতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস।

পুলিশের মিরপুর জোনের এসি এম এম শামীম জানান, আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি র‌্যাব, পুলিশ, ওয়াসাসহ স্থানীয়রা সাহায্য করেন। রাত ১১টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত দুজন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। তাদের একজনের নাম কবির (৩৫)।  প্রথমে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে হিমশিম খেতে হয় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের। বস্তির ঘরগুলো বাঁশ ও টিন দিয়ে তৈরি হওয়ায় আগুন ক্রমেই চারদিকে ছড়িয়ে পড়তে থাকে। এ সময় পানির সংকট দেখা দেয়। একই সঙ্গে আগুনের তীব্রতা বাড়তে থাকে। রাত সাড়ে ১০টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক দেবাশীষ বর্ধন সাংবাদিকদের জানান, আগুন মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে এসেছে। এখন আর ছড়ানোর আশঙ্কা নেই। জানা গেছে, ছোট-বড় মিলে এ বস্তিতে ৫ হাজার ঘর রয়েছে। এখানে ২৫ হাজারেরও বেশি মানুষের বসবাস। এ বস্তিতে আগুন লাগার খবরে ধাপে ধাপে ফায়ার সার্ভিসের ১১৫ জন কর্মী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন।  প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা মতে, অগ্নিকাে র ঘটনায় আতঙ্কিত বস্তিবাসী ও আশপাশের মানুষকে নিরাপদ স্থানে ছুটতে দেখা যায়। আগুনের খবরে বস্তি থেকে দিশাহারা অনেক মানুষ পেছনের দিকের বের হওয়ার রাস্তা দিয়ে ছুটতে থাকেন। ঝিলপাড় বস্তিতে সাত নম্বর, আট নম্বর ও আরামবাগ নামে তিনটি লাগোয়া বসতি। সেখানে এক হাজারেরও বেশি পরিবারের বসবাস। সন্ধ্যা ৭টার পরে বস্তির মাঝামাঝি এলাকা থেকে আগুনের সূত্রপাত। ঈদের ছুটি থাকায় বস্তির অনেক বাসিন্দা গ্রামের বাড়িতে রয়েছেন। ফলে অধিকাংশ ঘর তালাবদ্ধ থাকায় আগুনে তাদের সব কিছু পুড়ে গেছে। তাদের আসবাবপত্র রক্ষার তৎপরতাও দেখা যায়নি। বস্তির আশপাশের ভবন থেকে আতঙ্কিত বাসিন্দাদের নিজ নিজ মালামাল নিয়ে বের হতে দেখা যায়।

এদিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) পক্ষ থেকে মেয়র আতিকুল ইসলাম অগ্নিকান্ডে আহতদের চিকিৎসার সব ব্যয় বহনের ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, নিহতের বিষয়ে আমরা এখনো নিশ্চিত নই। আগুন পুরোপুরি নেভার পর ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ জানা যাবে।

এছাড়া ত্রাণ ও দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান অগ্নিকান্ডে ২৫ হাজার পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে দাবি করেছেন।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর