সোমবার, ১৯ আগস্ট, ২০১৯ ০০:০০ টা

খুলনার আবাসিক এলাকায় নোংরা পরিবেশ, ডেঙ্গু ঝুঁকি

জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভায় উদ্বেগ

সামছুজ্জামান শাহীন, খুলনা

খুলনার অধিকাংশ আবাসিক এলাকায় বহুতল বাড়ির চারপাশের পরিবেশ থাকে নোংরা, অপরিচ্ছন্ন। সেই সঙ্গে বদ্ধ ড্রেন, ফুলের টব ও টায়ারে জমে থাকে পানি। নেই মশক নিধনের কোনো উদ্যোগ। ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কারে প্রশাসনের দিকে আঙ্গুল তুলেই দায়িত্ব এড়াতে চাইছেন অনেকে। ফলে অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে রয়েছে এডিস মশার বংশবৃদ্ধি ও ডেঙ্গু ছড়ানোর আশঙ্কা রয়ে গেছে এসব এলাকায়। সিভিল সার্জন অফিসের তথ্য মতে, খুলনায় প্রতিদিনই বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। এদের অধিকাংশই ঢাকা থেকে আক্রান্ত হয়ে খুলনায় এসেছেন। তবে চলতি মাসেই খুলনার রূপসা কাজদিয়ায় ডেঙ্গুয় আক্রান্ত হয়ে স্কুলছাত্র মঞ্জুর শেখের মৃত্যুর পর স্থানীয়ভাবে ডেঙ্গু আক্রান্ত হওয়ার আতঙ্ক ছড়িয়েছে। সচেতনতার অভাবে এলাকার পরিবেশ নিয়েও উদ্বেগের কথা জানালেন জনপ্রতিনিধিরা। খুলনার রূপসা স্বল্পবাহিরদিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, সচেতনতার অভাবে আশপাশের পরিবেশ অপরিচ্ছন্ন থাকায় এডিস মশার বংশ বিস্তার হয়। ফলে খুলনায় অবস্থান করেও এখন ডেঙ্গুতে আতঙ্ক হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এদিকে গ্রামের পাশাপাশি শহরের অভিজাত এলাকার পরিবেশ নিয়েও দুশ্চিন্তায় রয়েছে প্রশাসন। গতকাল জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভায় এ বিষয়ে উদ্বেগ জানিয়ে আবাসিক এলাকার জনপ্রতিনিধিদের নেতৃত্বে কমিউনিটি পর্যায়ে সচেতনতা বৃদ্ধির আহ্বান জানানো হয়েছে। এতে সভাপতিত্ব করেন খুলনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন। খুলনা সিভিল সার্জন এএসএম আবদুর রাজ্জাক জানান, সম্প্রতি খুলনার অভিজাত নিরালা আবাসিক এলাকার সচেতনতা বৃদ্ধির লিফলেট বিতরণ করতে গেলে বহুতল বাড়ির সামনেই দেখা যায় আবর্জনার স্তূপ। ডাবের খোসা, ফুলের টব ও টায়ারে জমে আছে কয়েকদিনের বৃষ্টির পানি। চারপাশের অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে মশার বংশ বিস্তার হচ্ছে। এদিকে জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ১৫ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৫৩৮ জন। এর মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৯২ জন।

সর্বশেষ খবর