বুধবার, ২১ আগস্ট, ২০১৯ ০০:০০ টা

নীরব মৌলভীবাজার জেলা বিএনপি

সৈয়দ বয়তুল আলী, মৌলভীবাজার

২০০৯ সালে মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির তিন পদে নেতাদের নাম ঘোষণা হয়েছিল। এম নাসের রহমানকে সভাপতি, খালেদা রব্বানীকে সাধারণ সম্পাদক ও এম এ মুকিতকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক করে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। সে সময়ে এ তিনজন মিলে নেতা-কর্মীদের মতামত নিয়ে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের কথা থাকলেও  পূর্ণাঙ্গ কমিটি আলোর মুখ দেখেনি। ফলে তিন নেতার কমিটিতে বন্দী হয়েছিল মৌলভীবাজার বিএনপি।

পরে ২০১৭ সালের ২৫ মে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বাক্ষরিত এক পত্রে এম নাসের রহমানকে        সভাপতি এবং মিজানুর রহমান মিজানকে সাধারণ সম্পাদক করে একটি কমিটি ঘোষণা করা হয়। এ সময় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ৪৮ সদস্যের আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়। পরবর্তী সময়ে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের জন্য ৩০ দিনের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তাদের মধ্যে অভ্যন্তরীণ বিরোধের কারণে আর পূর্ণাঙ্গ কমিটি হয়নি। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বাধীন দুটি ধারায় মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির কার্যক্রম চলেছে। গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে বিরোধের নিরসন ঘটে। এরই ধারাবাহিকতায় পূর্ব ঘোষিত জেলা কমিটিকে পুনর্গঠিত করে প্রায় দুই বছরের মাথায় ১৫১ সদস্যবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়। পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা হলেও জেলা বিএনপির তেমন কোনো কার্যক্রম দেখা যায়নি। বর্তমানে জেলা সভাপতি এম নাসের রহমানের নেতৃত্বে চলছে জেলা বিএনপির কার্যক্রম। গত মাসে জেলার কুলাউড়া উপজেলায় উপজেলা কমিটি গঠন করা হয়েছে।

বিগত সরকারবিরোধী আন্দোলন করতে গিয়ে বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে পুলিশ বাদী হয়ে নাশকতার অভিযোগে ১০টি মামলা করে। মামলাগুলোতে এজাহারনামীয় আসামি করা হয় ৩১৮ জনকে। এ ছাড়া অজ্ঞাত আসামি করা হয় আরও কয়েকশ জনকে। বিভিন্ন মামলায় এদের মধ্যে ৫৯ জন কারাবরণ করেছেন। মামলার কারণে বেশিরভাগ নেতা-কর্মী আত্মগোপনে থাকায় দলীয় কার্যক্রমেও দেখা দিয়েছে স্থবিরতা। পূর্ণাঙ্গ কমিটি না থাকায় নেতৃত্বেরও অভাব দেখা দিয়েছে। ফলে নেতা-কর্মীদের মাঝেও দেখা দিয়েছিল বিশৃঙ্খলা। গত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় নাশকতা, পুলিশ অ্যাসল্টসহ জেলা-উপজেলায় ১৩টি মামলা হয় বিএনপিসহ অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের নামে।

এ ব্যাপারে জেলা বিএনপির প্রচার সম্পাদক মো. ইদ্রিছ আলী বলেন, আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে মৌলভীবাজার জেলা বিএনপি এখন অনেক শক্তিশালী এবং জেলা বিএনপির কমিটির মধ্যে কোনো বিভক্তি নেই। মামলার কারণে অনেক নেতা-কর্মী সমস্যায় রয়েছেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর