বুধবার, ২১ আগস্ট, ২০১৯ ০০:০০ টা

ধর্ষণের পর হত্যা করা হয় মাদ্রাসাছাত্রী আসমাকে

নিজস্ব প্রতিবেদক

পঞ্চগড়ের মাদ্রাসাছাত্রী আসমাকে (১৭) ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। গতকাল দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে একথা জানান ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক। হত্যার পর তার লাশ ঢাকা কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে ট্রেনের পরিত্যক্ত বগির শৌচাগারে ফেলে রাখা হয়। সোমবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে লাশটি উদ্ধার করে ঢাকা রেলওয়ে পুলিশ। ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক ঢামেক ফরেনসিক বিভাগের প্রভাষক প্রদীপ বিশ্বাস বলেন, মেয়েটিকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। তার শরীরে নির্যাতনের    চিহ্নও পাওয়া গেছে। ধর্ষণ এবং হত্যায় একাধিক ব্যক্তি জড়িত কি না সে বিষয়ে নিশ্চিত হতে আরও কিছু নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। সেগুলো পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে প্রতিবেদন পেলে বিষয়টি সম্পর্কে পরিপূর্ণ নিশ্চিত হওয়া যাবে। ঢাকা রেলওয়ে (কমলাপুর) থানার এসআই রুশো বণিক বলেন, লাশ উদ্ধারের সময় কিশোরীর গলায় দাগ ছিল। প্রাথমিকভাবে আমাদেরও ধারণা ছিল তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। 

জানা যায়, নিহত আসমা খাতুন পঞ্চগড় জেলা সদরের কনপাড়া গ্রামের ভ্যানচালক আবদুর রাজ্জাকের দ্বিতীয় মেয়ে। সে স্থানীয় খানবাহাদুর মাদ্রাসা থেকে এ বছর দাখিল পাস করে। আসমার পাশের গ্রামের ভুট্টো তায়ারের ছেলে বাঁধনের সঙ্গে অষ্টম শ্রেণি থেকে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। দুজনই একই মাদ্রাসায় একই ক্লাসে পড়াশোনা করত। গত রবিবার সকালে আসমার মা-বাবা কাজের জন্য বাইরে গেলে বাবার ভোটার আইডি কার্ড, জন্ম নিবন্ধন নিয়ে নিখোঁজ হয় আসমা। একই সময়ে বাঁধনও নিখোঁজ হয় বলে জানিয়েছে বাঁধনের পরিবার। তারা বিয়ে করার জন্যই পালিয়ে যায় বলে ধারণা স্থানীয়দের। কমলাপুরে দুজনই কোনো চক্রের হাতে পড়ে আসমা খুন হতে পারে অথবা বাঁধনের সঙ্গীরা খুন করতে পারে বলে সন্দেহ করছে এলাকাবাসী।

 

 

 

 

সর্বশেষ খবর