অডিও, ভিডিওর মতো ইলেকট্রনিক রেকর্ডকে প্রমাণ হিসেবে ব্যবহারের লক্ষ্যে সাক্ষ্য আইনকে যুগোপযোগী করতে আইন মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল দুদক সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখ্ত আইন মন্ত্রণালয়ে এ চিঠি পাঠান। দুদকের জনসংযোগ কার্যালয় বিষয়টি জানিয়েছে। চিঠিতে বলা হয়েছে, দুদক আইন, ২০০৪ এর তফসিলভুক্ত অপরাধগুলো তদন্ত করে বিচারের জন্য আদালতে নেওয়া হয়। কিন্তু ১৮৭২ সালের সাক্ষ্য আইনে ইলেকট্রনিক রেকর্ডের সাক্ষ্য মূল্য সম্পর্কে স্পষ্ট কিছু বলা হয়নি। ফলে বিভিন্ন সময় তদন্ত ও বিচারের ক্ষেত্রে রেকর্ডে ধারণ করা প্রমাণপত্র জব্দ ও উপস্থাপন করা হয় না। তবে ইলেকট্রনিক রেকর্ড কম্পিউটার বিজ্ঞানের আওতাধীন, এটি সাক্ষ্য আইনের ৪৫ ধারা অনুযায়ী আদালতের মতামত গঠনে প্রাসঙ্গিক। টেপ রেকর্ড, টেলিফোনিক আলাপন ও ভিডিও ক্যাসেটে ধারণ করা তথ্য-উপাত্ত বিচারের সময় প্রাসঙ্গিক বলে উচ্চ আদালতের সিদ্ধান্ত রয়েছে। ভারতে ইলেকট্রনিক রেকর্ডের সাক্ষ্য মূল্য দিতে গিয়ে সাক্ষ্য আইনের সংশ্লিষ্ট কয়েকটি ধারায় নতুন বিধান যুক্ত হয়েছে। বর্তমান প্রেক্ষাপটে ইলেকট্রনিক রেকর্ডকে সাক্ষ্য মূল্য দিয়ে বাংলাদেশে বিদ্যমান সাক্ষ্য আইনে এ সংক্রান্ত নতুন বিধান সংযোজন প্রয়োজন বলে কমিশন মনে করে।