শুক্রবার, ২৩ আগস্ট, ২০১৯ ০০:০০ টা

আওয়ামী লীগে কয়েক ধারা বিএনপিতে মতবিরোধ

শেখ রুহুল আমিন, ঝিনাইদহ

আওয়ামী লীগে কয়েক ধারা বিএনপিতে মতবিরোধ

ঝিনাইদহে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা বর্তমানে বিভিন্ন ধারায় বিভক্ত হয়ে পড়েছে। তবে নেতৃত্বদানকারী নেতারা তাদের অবস্থানকে শক্ত করতে কর্মী সমর্থকদের কাছে টানতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। অন্যদিকে বিএনপিতে বিরোধ প্রকাশ্যে রূপ না নিলেও জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক এমপি মশিউর রহমানের বিপক্ষে সক্রিয়ভাবে অবস্থান নিচ্ছেন নেতা-কর্মীদের একাংশ। এ নিয়ে এলাকায় নানা গুঞ্জন দেখা দিচ্ছে। সূত্র জানায়, সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়ার জন্য একাধিক নেতা মনোনয়ন কেনেন। তবে মনোনয়ন পান স্বাধীন বাংলার অন্যতম সংগঠক, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি নুরে আলম সিদ্দিকীর ছেলে সাবেক স্বতন্ত্র এমপি তাহজীব আলম সিদ্দিকী সমি। সমি ঝিনাইদহ-২ আসনে এমপি নির্বাচিত হন। এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে দলীয় অবস্থান শক্ত করতে নেতা-কর্মীদের কাছে টানেন। কিন্তু জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র সাইদুল করিম মিন্টু জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ,                 ছাত্রলীগসহ দলীয় অঙ্গসংগঠনের রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করে থাকেন। তবে এমপি সমি গ্রুপের কাছে মিন্টুর অনুসারীরা অনেকটা কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন বলে জানা গেছে। অন্যদিকে সাবেক এমপি জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি সফিকুল ইসলাম অপুর নেতৃত্বে দলীয় নেতা-কর্মীদের একটি অংশ আছেন। কিন্তু তাদের তৎপরতা কমে গেছে। আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে সফিকুল ইসলাম অপু দলীয় গুরুত্বপূর্ণ পদ পেতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছে। এ ছাড়া সাধারণ সম্পাদকের পদ পেতে পারেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কনক কান্তি দাস। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল হাই এমপি সর্বোচ্চ পদে থাকলেও শৈলকুপা উপজেলার রাজনীতি নিয়ে বেশি ব্যস্ত থাকেন। অপরদিকে বিএনপির রাজনীতি জেলা বিএনপির সভাপতি দলীয় চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সাবেক এমপি মসিউর রহমানের হাতেই নিয়ন্ত্রিত হয়। কিন্তু তিনি দুর্নীতির মামলায় দি ত হওয়ার পর দলীয় মনোনয়ন পেয়েও অযোগ্য ঘোষিত হন। দলীয় চূড়ান্ত মনোনয়ন লাভ করেন জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আবদুল মজিদ। কিন্তু মজিদ মনোনয়ন পেয়েও গ্রেফতারের ভয়ে মাঠে নামতে পারেননি। মজিদ মনোনয়ন পাওয়ার কারণে ক্ষুব্ধ হন মসিউর রহমান। সেই থেকে শুরু হয়েছে দ্বন্দ্ব।

এ ছাড়া মসিউর রহমানের বিপক্ষে দলীয় নেতা-কর্মীদের একটি ছোট পরিসর নিয়ে এগিয়ে চলেছেন কেন্দ্রীয় বিএনপির মীর রবিউল ইসলাম লাবলু। তিনি সাবেক এমপি মসিউরের অনুসারী অনেক নেতাকে কাছে টেনে সাংগঠনিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। কোন্দল থেমে নেই শৈলকুপা, কালীগঞ্জ, মহেশপুর ও কোটচাঁদপুর বিএনপিতেও।

এ ব্যাপারে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক জানান, বিএনপিতে আগের মতো সাংগঠনিক কর্মকা  নেই। তিনি জানান, আগামীতে কাউন্সিল উপলক্ষে পদ-পদবি নিয়ে প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। অন্যদিকে জেলা জামায়াতে ইসলামীর সাংগঠনিক অবস্থা নাজুক হয়ে পড়েছে। কোথাও কোনো কর্মকা  চোখে পড়ে না। এ ছাড়া জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক অবস্থা একেবারে দুর্বল। তবে এরশাদ মারা যাওয়ার পর ঝিনাইদহ প্রেস ক্লাবে একটি শোকসভা ও র‌্যালির আয়োজন করতে দেখা যায়।

সর্বশেষ খবর