শুক্রবার, ২৩ আগস্ট, ২০১৯ ০০:০০ টা

আয় বাড়াতে গ্রাহকের ওপর ‘খড়গ’

চট্টগ্রাম ওয়াসা

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

আয় বাড়াতে গ্রাহকের ওপর ‘খড়গ’

চট্টগ্রাম ওয়াসা সরকারি ও বিদেশি ঋণে ৭ হাজার ৬৫১ কোটি ৬ লাখ টাকায় চারটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। ২০২২ সাল থেকে এসব ঋণ পরিশোধ শুরু করতে হবে। ফলে ঋণ বাবদ সুদে-আসলে বছরে ১০০ কোটি টাকার বেশি পরিশোধ করতে হবে। কিন্তু এর বিপরীতে ওয়াসার বর্তমান আয় ১০৭ কোটি ৫৭ লাখ ৮০ হাজার ২৪৩ টাকা এবং বছরে ব্যয় হচ্ছে      ১২০ কোটি টাকা। আয়ের চেয়ে ব্যয় বাড়ায় পানির মূল্য বৃদ্ধির উদ্যোগ নিয়েছে চট্টগ্রাম ওয়াসা। অভিযোগ ওঠেছে, ওয়াসার এই ঋণ পরিশোধ করতেই কার্যত পানির মূল্য বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অনেকটা পরোক্ষভাবে কর্তৃপক্ষের অপরিণামদর্শী পরিকল্পনার খেসারতও দিতে হচ্ছে গ্রাহকদের। ওয়াসা সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে আবাসিকে প্রতি এক হাজার লিটার পানির দাম ৯ টাকা ৯২ পয়সা থেকে ১৬ টাকা এবং অনাবাসিকে ২৭ টাকা ৫৬ পয়সা থেকে বৃদ্ধি করে ৪০ টাকা করার প্রস্তাব গত ৯ আগস্ট ওয়াসার বোর্ড সভায় অনুমোদন দেওয়া হয়।

 

 এ প্রস্তাব চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। প্রস্তাব বাস্তবায়িত হলে ওয়াসার পানি বিক্রি খাতে আয় বছরে প্রায় ৩৫ থেকে ৪০ কোটি টাকা বৃদ্ধি পেতে পারে।

বর্তমানে ওয়াসার মোট গ্রাহক ৭৩ হাজার ৮৮৪ জন। এর মধ্যে আবাসিক ৬৬ হাজার ৫১ এবং বাণিজ্যিক ৭ হাজার ৮৩৩। পানির মোট পাইপ লাইন ৭৬৮ কিলোমিটার।

চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী ফজলুল্লাহ বলেন, ‘ঋণের সঙ্গে পানির দাম বৃদ্ধির কোনো সম্পর্ক নেই। আমরা পানির উৎপাদন খরচের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই দাম বৃদ্ধি করছি। বর্তমানে আমাদের প্রতিহাজার পানি উৎপাদন খরচ হয় ১৬ টাকা। আমরা এই টাকাই ধরেছি। তবে আমাদের চলমান চারটি প্রকল্প শেষ হলে আবারও আয়-ব্যয় পর্যালোচনা করে পানির দাম পরিবর্তন করা হবে।’

গ্রাহকদের অভিযোগ, ‘ওয়াসা প্রায় ৬২ শতাংশ মূল্য বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অথচ গত জানুয়ারি মাসেও পানির দাম ৫ শতাংশ বৃদ্ধি করেছিল। কিন্তু ওয়াসা আইন, ১৯৯৬ এর ২২ ধারা অনুযায়ী ওয়াসা এক বছরে সর্বমোট ৫ শতাংশ হারে পানির দাম বাড়াতে পারে। ফলে জানুয়ারিতে ৫ শতাংশ হারে বাড়ানোর পর, ৬ মাসের ব্যবধানে পানির দাম প্রায় ৬২ শতাংশ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত ওয়াসা আইনেরও বিরোধী।’

 

সর্বশেষ খবর