শুক্রবার, ২৩ আগস্ট, ২০১৯ ০০:০০ টা

উত্তরায় বিআরটিএতে দালালের দৌরাত্ম্য

দুদকের অভিযান

নিজস্ব প্রতিবেদক

ড্রাইভিং লাইসেন্স, ফিটনেস, নতুন নম্বর প্লেটসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সেবাপ্রার্থী নাগরিকদের কাছ থেকে ঘুষ গ্রহণ এবং গ্রাহক হয়রানির অভিযোগে রাজধানীর উত্তরায় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) কার্যালয়ে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল দুদক এ অভিযান চালিয়েছে। কমিশনের জনসংযোগ কার্যালয় জানিয়েছে, দুদকের হটলাইন ১০৬-এ অভিযোগ পেয়ে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে গিয়ে দুদক টিম দেখতে পায় সেখানে দালালদের দৌরাত্ম্য রয়েছে। দুদক টিমের উপস্থিতি টের পেয়ে কয়েকজন দালাল দৌড়ে পালিয়ে যায়। কিছু সেবাপ্রার্থী অভিযোগ করেন, তাদের কাজ অনেকদিন ধরে পেন্ডিং রয়েছে। দিনের পর দিন ঘুরে তারা তাদের কাজ সমাধা করতে পারছেন না। উচ্চশিক্ষার প্রয়োজনে দেশের বাইরে যাওয়ার জন্য তিনজন ছাত্রের ড্রাইভিং লাইসেন্স অনেকদিন ধরে  পেন্ডিং ছিল। সেটি দুদক টিমের হস্তক্ষেপে তাৎক্ষণিক সমাধান করা হয়। এ ছাড়া একজন সেবা প্রার্থী তার ড্রাইভিং লাইসেন্স সংশোধনের জন্য আবেদন করে কয়েকদিন ধরে ঘুরলেও সমাধান হচ্ছিল না। দুদক টিমের হস্তক্ষেপে তার ড্রাইভিং লাইসেন্সও তাৎক্ষণিকভাবে সংশোধনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। এসব অনিয়মের সঙ্গে জড়িত থাকায় একজন ডাটা এন্ট্রি অপারেটরকে শোকজ করার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। এদিকে রাজশাহীতে পরিবেশ বন ও মন্ত্রণালয়ের জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলার জন্য তাহেরপুর পৌরসভা এলাকায় অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় তাহেরপুর শহর রক্ষা বেড়িবাঁধের নির্মাণকাজে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে অভিযান চালানো হয়েছে। সরেজমিন দেখা গেছে, বেড়িবাঁধের প্রকল্পের বরাদ্দ প্রায় ৫ কোটি টাকা এবং বাঁধটির ৪১৫ মিটারের মধ্যে ৪০০ মিটারের কাজ শেষ হয়েছে। প্রকল্প পরিদর্শনে দেখা যায়, অত্যন্ত নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে নির্মাণকাজের ৩ মাস যেতে না যেতেই বাঁধের প্রায় ৬০ ভাগ নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। বাঁধের অন্যান্য অংশেও ফাটল দেখা দিয়েছে। শেরপুর জেলার সদর উপজেলার চরপক্ষিমারী  ইউনিয়নে অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচির ৪০ দিনের প্রকল্পে দুর্নীতির সত্যতা পেয়েছে দুদকের আরেকটি দল। নন্দীজোড় গাজী মেম্বারের বাড়ি থেকে খাসপাড়া কামারপাড়া দেলোয়ারের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা মেরামতের জন্য ৬ লাখ ৪০ হাজার টাকা বরাদ্দ করা হয়।

 এতে ৮০ জন উপকারভোগীর কাজ করার কথা থাকলেও মাত্র ১৮ জনকে কাজ দিয়ে বাকি টাকা আত্মসাতের প্রমাণ পাওয়া গেছে। এ ছাড়া আরও চার-পাঁচটি প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে তথ্য-উপাত্ত যাচাই-বাছাই করছে দুদকের দলটি।

সর্বশেষ খবর