দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেছেন, দুদককে আমরা মানুষের আস্থার প্রতীক বানাতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। কারও গাফিলতি কিংবা স্বেচ্ছাচারিতার কাছে এ প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা ক্ষুণœ হতে দেওয়া হবে না। সাধারণ মানুষের সঙ্গে কর্মকর্তাদের বিনয়ী আচরণের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, টেলিফোন ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে অনেকের রূঢ় আচরণের তথ্য আমরা পাই। গতকাল দুদকের প্রধান কার্যালয়ে অভিযোগের অনুসন্ধান ও তদন্তে আরও ¯¦চ্ছতা, জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণে আয়োজিত এক জরুরি সভায় ইকবাল মাহমুদ এ কথা বলেন। দুদক চেয়ারম্যানের সভাপতিত্বে সভায় দুদক কমিশনার ড. মো. মোজাম্মেল হক খান ও এ এফ এম আমিনুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। সভায় দুদকের সব বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক, সব সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক, প্রধান কার্যালয়ের সচিব, মহাপরিচালক ও পরিচালকরা অংশ নেন।

ইকবাল মাহমুদ বলেন, দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান বা তদন্তে কোনো ধরনের অনিয়ম, স্বজনপ্রীতিসহ কমিশনের ভাবমূর্তি ক্ষুণœ করার মতো কোনো আচরণ সহ্য করা হবে না। প্রত্যেক কর্মকর্তা ঠিক ততক্ষণই প্রিয় থাকবেন, যতক্ষণ পর্যন্ত তিনি দায়িত্ব সততা ও স্বচ্ছতার  সঙ্গে পালন করবেন। আমি আপনাদের সতর্ক করি তারপরও যখন অভিযোগ আসে তখন ব্যবস্থা নেওয়া ছাড়া কোনো বিকল্প পথ থাকে না। অনুসন্ধানের সময়সীমা নিয়ে অনেকবার কথা বলেছি। এখন থেকে যারা টাইম লাইন অনুসরণে ব্যর্থ হবেন তাদের উচিত হবে অপশন দিয়ে অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানে গিয়ে কাজ করা। যেসব মামলার নথি পর্যালোচনা করে ত্রুটি-বিচ্যুতি উদ্ঘাটন করা হয়েছে তা দ্রুত সংশোধন করতে হবে।