উন্নয়ন প্রকল্প থেকে প্রশাসন কর্তৃক ছাত্রলীগকে দুই কোটি টাকা দেওয়ার সংবাদ প্রকাশের পর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এখন সরগরম। ছাত্র-শিক্ষক, ছাত্রনেতা, প্রশাসন- সর্বত্রই এখন এটি আলোচনার প্রধান বিষয়। দুই কোটি টাকা এবং উন্নয়ন প্রকল্পকে ঘিরে যে কোনো সময় বিশ্ববিদ্যালয় অশান্ত হয়ে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। গত ২৩ আগস্ট বাংলাদেশ প্রতিদিনে ‘উন্নয়ন প্রকল্পের দুই কোটি টাকা ছাত্রলীগের পকেটে’ শীর্ষক সংবাদ প্রকাশিত হয়। গত মে মাসে ঠিকাদারদের কাছ থেকে দরপত্র ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছিল শাখা ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে। কয়েকটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তখন উপাচার্যের কাছে লিখিত অভিযোগ করে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নির্বিঘেœ হলগুলোর নির্মাণকাজ চালাতেই ছাত্রলীগকে এই টাকা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ফলে ছাত্রলীগ এখন কাজ করবে প্রশাসনের সহযোগী হিসেবে। দীর্ঘ দুই সপ্তাহ ধরে দুই কোটি টাকা দেওয়ার খবরটি গুঞ্জন হিসেবে থাকলেও বাংলাদেশ প্রতিদিনে সংবাদ প্রকাশিত হলে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানাতে শুরু করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। এ ব্যাপারে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি আশিকুর রহমান বলেন, ক্ষমতাসীন ছাত্র সংগঠনকে হাতে রাখতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অর্থ প্রদান করেছে- এমন নজির ইতিহাসে বিরল।