রবিবার, ২৫ আগস্ট, ২০১৯ ০০:০০ টা
আগামীর উন্নয়ন পরিকল্পনা

মেয়রকে নিয়ে গভীর রাতে রাস্তায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী

শাহ্ দিদার আলম নবেল, সিলেট

মেয়রকে নিয়ে গভীর রাতে রাস্তায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী

গভীর রাত। রাস্তাঘাট ফাঁকা। মাঝেমধ্যে গাড়ির হর্ন চেষ্টা করছে রাতের নীরবতা ভাঙার। আবছা আলোয় রাস্তায় হাঁটছেন ৮-১০ জন মানুষ। থেমে থেমে তাকাচ্ছেন এদিক-ওদিক। গত শুক্রবার রাতে সিলেট নগরের এই নিশাচর দলের নেতৃত্বে ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন ও সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। শেষ রাত পর্যন্ত ঘুরে ঘুরে দুই জনপ্রতিনিধি দেখেছেন সিলেট নগরের চলমান উন্নয়ন কর্মকাণ্ড। হাঁটতে হাঁটতে কিছু পরিকল্পনাও করেছেন আগামীর উন্নয়নের। গত শুক্রবার সন্ধ্যা পৌনে ৬টায় সিলেট আসেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। মধ্যরাত পর্যন্ত নগরের ধোপাদীঘির পাড়ের বাসায় ছিল নেতা-কর্মীর ভিড়। তাদের বিদায় দিয়ে রাত দেড়টার দিকে বের হন বাসা থেকে। ফোন দেন সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীকে। রাস্তায় দেখা দুজনের। গাড়ি থেকে নেমে পড়েন দুই জনপ্রতিনিধি। হেঁটে হেঁটে শুরু করেন নগরের উন্নয়ন পরিদর্শন। মেয়র জিন্দাবাজারে সড়ক সম্প্রসারণ, আন্ডারগ্রাউন্ড বিদ্যুৎ লাইনের কাজের অগ্রগতি দেখান পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে। এরপর চৌহাট্টায় গিয়ে আরও কিছু উন্নয়নকাজ পরিদর্শন করেন তারা। চৌহাট্টা থেকে মোমেন-আরিফ অগ্রসর হন দরগা গেটের দিকে। সেখানে গিয়ে রাস্তা সম্প্রসারণসহ আরও কিছু উন্নয়নকাজ পরিদর্শন করেন। হাঁটতে হাঁটতে ড. মোমেন ও আরিফুল হক সিলেট নগরের উন্নয়ন নিয়ে আরও কিছু পরিকল্পনা করেন। এ সময় মেয়র আরিফ সিলেটের উন্নয়নে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সহযোগিতা চান। পররাষ্ট্রমন্ত্রীও সব ধরনের সহযোগিতার আশ^াস দিয়ে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিলেটের উন্নয়নের ব্যাপারে খুবই আন্তরিক। উন্নয়নের ক্ষেত্রে তিনি সিলেটকে প্রাধান্য দিয়ে থাকেন। তবে উন্নয়নকাজে যাতে কেউ অনিয়ম-দুর্নীতি করতে না পারে সে ব্যাপারেও সিটি করপোরেশনকে কড়া নজর রাখার নির্দেশ দেন তিনি। এদিকে গতকাল নগরীর রিকাবীবাজারে কবি নজরুল অডিটরিয়ামে জেলা সমাজসেবা অফিসের উদ্যোগে দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্তদের মাঝে আর্থিক অনুদানের চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, এশিয়ার ৪৫টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের জিডিপির হার এখন সবচেয়ে বেশি। মানুষের মাথাপিছু আয় বাড়ছে। বর্তমান সরকারের নানামুখী পদক্ষেপে গত ১০ বছরে দেশের দারিদ্র্যসীমার হার প্রায় অর্ধেকে নেমেছে। সাধারণত কোনো দেশে দ্রুতগতিতে উন্নয়ন হলে সেখানে ধনী-গরিবের ফারাক বাড়ে। কিন্তু বাংলাদেশে এ ফারাক প্রতিবেশী ভারত, শ্রীলঙ্কা ও নেপালের চেয়ে অনেক কম।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর