মিয়ানমারের ইচ্ছাপূরণে সরকার কাজ করছে বলেই রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান হচ্ছে না বলে মনে করে বিএনপি। গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সন্ধ্যায় দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকের পর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দলের এ দৃষ্টিভঙ্গির কথা বলেন। তিনি বলেন, রোহিঙ্গা বিষয়ে সরকার সম্পূর্ণভাবে মিয়ানমারের কাছে নতিস্বীকার করেছে, তারা (মিয়ানমার) যে ফর্মুলা দিয়েছে তার কাছে তারা নতিস্বীকার করেছে। সর্বশেষ যে সাড়ে ৩ হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থীর প্রত্যাবাসনের ব্যবস্থা নিয়েছিল তার সমাধান হয়নি অর্থাৎ রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব, তাদের নিরাপত্তা, তাদের নিজের সম্পত্তির মালিক হয়ে বাসভূমিতে ফিরে যাওয়া, তাদের সম্পত্তির মালিক হওয়া- এ বিষয়গুলো নিশ্চিত হয়নি বলেই আস্থার অভাবে রোহিঙ্গারা স্বদেশে যায়নি। স্থায়ী কমিটির বৈঠকে ১ সেপ্টেম্বর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দিন যে র‌্যালি হওয়ার কথা ছিল তা পরিবর্তন করে ২ সেপ্টেম্বর করার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানান বিএনপি মহাসচিব। ১ সেপ্টেম্বর বিকালে আলোচনা সভা হবে। বৈঠকে জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট মামলায় হাই কোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানান তিনি। দুই ঘণ্টার এ বৈঠকে মহাসচিব ছাড়াও ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু উপস্থিত ছিলেন। মির্জা ফখরুল সাংবাদিকদের বলেন, রোহিঙ্গা নিয়ে কোনো কাজ না করে সরকার সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। আমরা চাই, রোহিঙ্গাদের নিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সমর্থন আদায় করে তাদের প্রত্যাবাসনের ব্যাপারে সরকার কাজ করুক। রোহিঙ্গা সমস্যার কীভাবে সমাধান আসতে পারে- প্রশ্ন করা হলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা আগে বলেছিলাম যে, এ সমস্যার সমাধানে প্রথম হচ্ছে অলপার্টি ডায়ালগ। একটা জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি করতে হবে রোহিঙ্গা ইস্যুতে, জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি করার মধ্য দিয়ে ওইখান থেকে বেরিয়ে আসত আমাদের কী করতে হবে।