লুটপাট, অপরিকল্পনা ও প্রকৃতি ধ্বংসের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। গতকাল দুপুরে ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’ ব্যানারে এই কর্মসূচি পালিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান অনুষদ থেকে শুরু হয়ে ক্যাম্পাসের কয়েকটি ভবন ও প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে মুরাদ চত্বরে সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয় বিক্ষোভ মিছিল। সমাবেশে বক্তারা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলের পাশে গাছ কেটে নির্মাণরত তিনটি আবাসিক হল অন্যত্র স্থানান্তর করে দ্রুত কাজ শুরু করা, উপাচার্যের বিরুদ্ধে  প্রকল্পের ২ কোটি টাকা দুর্নীতির বিচার বিভাগীয় তদন্ত এবং গত মে মাসে টেন্ডার ছিনতাইকারীদের বিচারসহ প্রকল্পের সব ব্যয়ের হিসাব জনসম্মুখে প্রকাশ করার দাবি জানান। এ ছাড়া উপাচার্য কর্তৃক সাংবাদিক লাঞ্ছনার ঘটনায় নিন্দা জানান বক্তারা। উপাচার্যসহ তার পরিবার প্রকল্পের দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত অভিযোগ করে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মাদ দিদার বলেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় বারবার নিপীড়নের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে। উপাচার্য ও তার পরিবার যে জনসাধারণের টাকা লুটপাটে নেমেছেন তা বন্ধ করতে আমরা রুখে দাঁড়াব। জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি আশিকুর রহমান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের মাথা হলো উপাচার্য। বিশ্ববিদ্যালয়ের মাথায় সমস্যা দেখা দিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধানের বিরুদ্ধে অর্থ কেলেঙ্কারির অভিযোগ উঠেছে। আমরা এটার বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি করছি।

নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সাঈদ ফেরদৌস বলেন, ছাত্রছাত্রীদের কাজ চোর ধরে বেড়ানো নয়। তেমনি শিক্ষকদের কাজ চুরিতে সহযোগিতা করা নয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সাধারণের মতকে উপেক্ষা করে অস্বচ্ছ ব্যবস্থায় বিপুল পরিমাণ টাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়ে আসা এবং খরচ করার পাঁয়তারা করছে। বাংলা বিভাগের অধ্যাপক শামীমা সুলতানা বলেন, আমরা উন্নয়নের বিরুদ্ধে নই। কিন্তু আমরা দেখছি তড়িঘড়ি করে উন্নয়ন বাস্তবায়ন করতে গিয়ে লুটপাট শুরু করে দেওয়া হয়েছে।