মঙ্গলবার, ২৭ আগস্ট, ২০১৯ ০০:০০ টা

একের পর এক খাল ভরাট হুমকিতে পয়ঃনিষ্কাশন

বরিশালে উদ্বেগ

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল

একের পর এক খাল ভরাট হুমকিতে পয়ঃনিষ্কাশন

নগরীর প্রবহমান ভাটার খালের ওপর নির্মাণ করা হয়েছে সরু পাকা ড্রেন কাম সড়ক -বাংলাদেশ প্রতিদিন

বরিশাল নগরীতে উন্নয়নের নামে বিভিন্ন খাল ভরাট করে নির্মাণ করা হয়েছে ড্রেন। একটি খালের ওপর নির্মাণ হয়েছে সড়ক। খাল ভরাট এবং সরু নালা নির্মাণের কারণে নগরীর ময়লা আবর্জনা ও পয়ঃনিষ্কাষণ বড় ধরনের হুমকিতে পড়েছে। ডেঙ্গু সচেতনতার কারণে বর্তমানে নগরীর বিভিন্ন নালা-নর্দমা পরিচ্ছন্ন রাখার চেষ্টা চলছে। কিন্তু বড় বড় খাল ভরাট করে সরু নর্দমা নির্মাণ করায় নগরীর পয়ঃনিষ্কাষণের চাপ সামাল দিতে পারছে না কর্তৃপক্ষ। এ কারণে বর্ষার সময় দেখা দেয় জলাবদ্ধতা। বিসিসি’র প্রকৌশল বিভাগ সূত্র জানায়, ২০১০ সালে তৎকালীন মেয়র শওকত হোসেন হিরণ নগরীর নবগ্রাম-বটতলা খাল, ভাটার খালসহ অনেকগুলো প্রশস্ত খাল ভরাট করে সরু ড্রেন নির্মাণ করেন। ২০১১ সালে কীর্তনখোলা নদী থেকে নগরীতে প্রবাহিত ভাটার খালের সদর রোড পর্যন্ত নর্দমা নির্মাণ করা হয়। পরে         সেই নর্দমার ওপর ঢালাই দিয়ে বাইপাস সড়ক নির্মাণ করা হয়। ৩০ থেকে ৩৫ ফুট প্রশস্ত খাল ভরাট হয়ে ২০ ফুটের সড়ক নির্মাণ করা হয়। বরিশাল নদী-খাল বাঁচাও আন্দোলনের সদস্য সচিব কাজী এনায়েত হোসেন শিবলু বলেন, নগরীর বটতলা এবং ভাটার খাল ভরাট করে পানি নিষ্কাষণের নর্দমা নির্মাণ করছেন কর্তৃপক্ষ। প্রায় ৩৫ প্রশস্ত খাল ভরাট করে অপরিকল্পিতভাবে নির্মাণ করা হয় সড়ক। এতে নগরীর বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় মারাত্মক সমস্যা হচ্ছে। বরিশাল সচেতন নাগরিক কমিটির-সনাক সহসভাপতি অধ্যাপক শাহ সাজেদা জানান, খাল উন্মুক্ত রেখে রাস্তা নির্মাণ করা উচিত। নগরীর সব খাল যাতে পুনরায় প্রবাহ ফিরে পায় সেদিকে কর্তৃপক্ষের নজর দেওয়া উচিত। সম্প্রতি ঘোষিত বাজেটে নগরীর ৪৩টি খাল পুনরুদ্ধার এবং সংরক্ষণের প্রকল্প নেওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়।

 ওই দিন মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ বলেন, নগরীর সব খাল পুনরুদ্ধার করা হবে। অনেক খালের পাড়ে হাঁটার জন্য ওয়াকওয়ে নির্মাণ করে দেওয়া হবে, যাতে আর কখনো খাল দখল হয়ে যেতে না পারে। এ লক্ষ্যে মন্ত্রণালয়ে প্রকল্প জমা দেওয়া আছে।

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর