কুমিল্লার আদালতে বিচারকের খাস কামরায় ঢুকে ফারুক নামের এক আসামিকে হত্যার ঘটনায় আদালতে চার্জশিট জমা দেওয়া হয়েছে। হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত একমাত্র আসামি হাসানের নামে গতকাল বিকালে কুমিল্লার অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালত-১ এর বিচারক মাসুদুর রহমানের কাছে চার্জশিট জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক প্রদীপ ম ল। হত্যাকান্ডের ৪২ দিন পর এ চার্জশিট জমা দেওয়া হলো। আসামি হাসান কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার ভোজপাড়া গ্রামের শহিদ উল্লাহর ছেলে। নিহত ফারুক কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলার কান্দি গ্রামের অহিদ উল্লাহর ছেলে। উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে মনোহরগঞ্জের কান্দি গ্রামে হাজী আবদুল করিম হত্যা মামলায় জামিনে থাকা আসামিদের চলতি বছরের ১৫ জুলাই হাজিরার দিন ধার্য ছিল। মামলার আসামিরা আদালতে প্রবেশের সময় ৪নং আসামি ফারুককে ছুরি নিয়ে তাড়া করেন ৬ নম্বর আসামি হাসান। এ সময় জীবন বাঁচাতে ফারুক ছুটতে ছুটতে বিচারকের খাস কামরায় ঢুকে পড়েন। হাসান সেখানে গিয়ে টেবিলের ওপর ফেলে ফারুককে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করলে তিনি মারা যান। ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লার বাঙ্গরা থানার এএসআই ফিরোজ।
তিনি বাদী হয়ে হাসানকে একমাত্র আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। আসামি হাসান ১৬৪ ধারার জবানবন্দিতে তার দায় স্বীকার করেন। তদন্তের জন্য মামলাটি ডিবিতে হস্তান্তর করা হয়। ডিবির পরিদর্শক প্রদীপ ম ল ছিলেন মামলার তদন্তকারী। এ মামলায় আদালতের এপিপি, পেশকার ও অফিস সহকারীসহ ১৪ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।