মঙ্গলবার, ২৭ আগস্ট, ২০১৯ ০০:০০ টা
চাঞ্চল্যকর রিমা হত্যা

ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাল্টে দেওয়ার অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক

কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় নবম শ্রেণির ছাত্রী রিমাকে গণধর্ষণের পর নৃশংসভাবে হত্যার ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাল্টে দেওয়ার অভিযোগ করেছে তার পরিবার। এ ঘটনায় থানা পুলিশ মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে অভিযুক্ত আসামিদের গ্রেফতার করছে না বলেও অভিযোগ করেছেন তারা। গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন নিহত রিমার মা আঙ্গুরা খাতুন ও              ভাই মাসুদ মিয়া। এ সময় রিমার মামা মুরশিদ মিয়া ও মুসলিম মিয়া উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে রিমা হত্যা মামলাটি তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কিংবা র‌্যাবে স্থানান্তরের দাবি করা হয়। এর আগে গত ১৯ জুলাই মেয়ে রিমা হত্যার ঘটনায় ৪ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেন মা আঙ্গুরা খাতুন। আসামিরা হলে- জাহিদ, পিয়াস, রুমান ও রাজু। এদের মধ্যে পিয়াসকে চট্টগ্রামের মাদারবাড়ী থেকে গ্রেফতার করে র‌্যাব-১৪। পরে তাকে আদালতে হাজির করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ড করে জেলহাজতে পাঠানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, জেলা সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্তে প্রাথমিকভাবে গণধর্ষণ শেষে নৃশংস হত্যাকান্ডে র প্রমাণ মিললেও হাসপাতালের সহকারী সার্জন ডা. সজীব ঘোষ চূড়ান্ত রিপোর্টে ঘটনাটিকে ধামাচাপা দিয়ে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। কিশোরগঞ্জ জেলার সিভিল সার্জন ডা. হাবিবুর রহমান ইতিমধ্যে ময়নাতদন্তে হত্যাকান্ডে র আগে গণধর্ষণের সুস্পষ্ট প্রমাণ মিলেছে বলেও জানিয়েছেন। লাশ উদ্ধারের সময় ওই কিশোরীর যৌনাঙ্গ ও পায়ুপথ ছিল রক্তাক্ত, ক্ষত-বিক্ষত। হাত ও পা গোড়ালির ওপর থেকে ভাঙা এবং ঘাড় মটকানো অবস্থায় ঝুলন্ত লাশ পাওয়া যায়। সম্প্রতি থানা-পুলিশকে নিজেদের পক্ষে নিতে বিপুল পরিমাণ টাকা খরচ করছে আসামিপক্ষ। একই সঙ্গে নিহত রিমার নৃশংস এই হত্যাকা কে আত্মহত্যা বলে আদালতে প্রমাণের চেষ্টা করছে। জানা যায়, কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার জামাইল গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের মেয়ে স্মৃতি আক্তার রিমা (১৪)। পার্শ্ববর্তী পাকুন্দিয়া থানার গাংধোয়ারচর গ্রামে নানাবাড়িতে বেড়াতে গিয়ে গত ১৭ জুলাই রাতে গণধর্ষণের পর নৃশংস হত্যাকান্ডে র শিকার হয়। চরফরাদি গ্রামের খুরশিদ উদ্দিনের ছেলে জাহিদ দলবলসহ রিমাকে তুলে নিয়ে গিয়ে হত্যার পর আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দিতে তার লাশ গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে রেখে পালিয়ে যায়। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনার বিচার দাবিতে হোসেনপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা কয়েক দফা মানববন্ধন করেছেন।

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর