মঙ্গলবার, ২৭ আগস্ট, ২০১৯ ০০:০০ টা
সম্পত্তি দখলে সহায়তা

পুলিশের ডিসি ইব্রাহীম বরখাস্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক

শহীদ মুক্তিযোদ্ধা, কুমিল্লার সাবেক জেলা প্রশাসক এ কে এম শামসুল হক খানের নামে দেওয়া অর্পিত সম্পত্তি দখলে সহায়তা ও আর্থিক সংশ্লেষের অভিযোগের সত্যতা পেয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ওয়ারীর উপকমিশনার মোহাম্মদ ইব্রাহীম খানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। গত রবিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব মোস্তাফা কামাল উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে তাকে বরখাস্ত করা হয়। বিসিএস ২৪তম ব্যাচের এই কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্তের পর পুলিশ সদর দফতরে সংযুক্ত       করা হয়েছে। অন্যদিকে একই অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে বর্তমান কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাবেক বংশাল থানার ওসি সাহিদুর রহমান এবং সাবেক নবাবপুর ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) জাহাঙ্গীর হোসেনের সম্পৃক্ততা পেলেও তারা বহাল তবিয়তে রয়েছেন। এদিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, মোহাম্মদ ইব্রাহীম খানকে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮-এর বিধি ১২ (১) অনুযায়ী চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো। সাময়িক বরখাস্তকালীন তিনি পুলিশ অধিদফতরে সংযুক্ত থাকবেন এবং প্রচলিত বিধি মোতাবেক খোরপোশ-ভাতা পাবেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানায়, জমি দখলসংক্রান্ত একটি অভিযোগে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। দখলে সহযোগিতার জন্য ইব্রাহীম খানের নেতৃত্বে পরিদর্শক সাহিদুর রহমান ও এসআই জাহাঙ্গীর হোসেন ৮ থেকে ১০ কোটি টাকা নিয়েছেন বলে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। ২২১ নম্বর হোল্ডিংয়ে বড় ধরনের লুটপাট ও ডাকাতির ঘটনা ঘটলেও সেখানে ডাকাতির মামলা না নিয়ে সাধারণ মামলা লিপিবদ্ধ করে তা নিজেই তদন্ত করেছিলেন পরিদর্শক সাহিদুর। জানা গেছে, ১৯৭৫ সালে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা এ কে এম শামসুল হক খানের বরাতে তার মা মাসুদা খানম অর্পিত সম্পত্তি লিজপ্রাপ্ত হন। মাসুদা খানমের মৃত্যুর পর তার অন্য ছেলে মো. আজহারুল হক খান ওই সম্পত্তি ভোগদখল করে আসছেন। তবে ওই সম্পত্তি জোরপূর্বক দখল, ভাঙচুর, ডাকাতির সহায়তা করার বিষয়ে পুলিশ সদর দফতরে অভিযোগ করলে এর তদন্ত করে ঢাকা মহানগর পুলিশের একজন যুগ্মকমিশনারের নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি দল। গত ৬ এপ্রিল ডিএমপি কমিশনারের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয় কমিটি।

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর