শুক্রবার, ৩০ আগস্ট, ২০১৯ ০০:০০ টা
নারায়ণগঞ্জে ইয়াবা মামলা

ওসির সংশ্লিষ্টতা প্রশ্নে অধিকতর তদন্তের নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

একটি ইয়াবা মামলায় দুই আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে নারায়ণগঞ্জ সদর থানার ওসি কামরুল ইসলামের নাম আসার পরেও অভিযোগপত্রে তার নাম না থাকায় মামলাটি অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট। ৫০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধারের ওই মামলার অন্য দুই আসামিও একই থানার পুলিশ সদস্য। মামলার অন্যতম আসামি পুলিশের কনস্টেবল আসাদুজ্জামানের জামিন শুনানিকালে গতকাল বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারোয়ার হোসেন বাপ্পী। আর আসাদুজ্জামানের জামিন আবেদনের পক্ষে অ্যাডভোকেট ফরহাদ আহমেদ। শুনানিতে আদালত বলেছে, ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় আসামির জবানবন্দিতে নাম আসার পরেও ওসিকে অভিযোগপত্রে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। আমরা মনে করি, এ অভিযোগপত্র ডিফেকটিভ (ত্রুটিযুক্ত)। এ কারণে মামলাটি অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হলো। এর আগে ২০১৮ সালের ৭ মার্চ নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানার রুপালি আবাসিক এলাকা থেকে সদর মডেল থানার এএসআই আলম সরোয়ার্দি ও মাদকবহনকারী সাবিনা আক্তার রুনুকে ইয়াবা ও টাকাসহ গ্রেফতার করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। সরোয়ার্দির বাসা থেকে মাদক উদ্ধারের পর দিনই বন্দর থানায় চারজনকে আসামি করে মামলা করা হয়। ওই মামলার দুই আসামি এএসআই আলম সরোয়ার্দি ও কনস্টেবল মো. আসাদুজ্জামান তাদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে নারায়ণগঞ্জ সদর থানার ওসি কামরুল ইসলামের সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে তথ্য তুলে ধরেন।

কিন্তু দুই আসামির জবানবন্দিতে ওসির নাম আসার পরেও তাকে বাদ দিয়ে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার) নাজিমউদ্দিন আল আজাদ। এ মামলায় জামিন চেয়ে হাই কোর্টে আবেদন করেন কনস্টেবল আসাদুজ্জামান।

সর্বশেষ খবর