রাজধানীর বাজারে ইলিশের সরবরাহ বেড়েছে। দামও আগের চেয়ে কিছুটা কমেছে। ইলিশের প্রাচুর্যে কমেছে অন্য মাছের দামও। রাজধানীর বাজারে এখন এক কেজির কাছাকাছি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে এক হাজার টাকায়। ইলিশের দাম নাগালের মধ্যে এলেও সপ্তাহজুড়ে সবজির দর রয়েছে চড়া। এ ছাড়া বেড়েছে পিয়াজের দামও। গতকাল রাজধানীর উত্তরা, খিলক্ষেত, বনানী, গুলশান, মহাখালীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।
বাজারগুলোতে দেখা গেছে, এক কেজির ওপরের সাইজের ইলিশের দাম ১ হাজার ২০০ টাকার কাছাকাছি। মাঝারি আকারের ইলিশও বাজারে প্রচুর মিলছে। ৮০০ গ্রামের কাছাকাছি ওজনের একেকটি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকা বা তার কিছুটা বেশি দরে। এর চেয়ে ছোট ইলিশ বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই কেজি দরে বিক্রি হয়, যার দর প্রতি কেজি ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা। ক্রেতারাও ইলিশ কিনছেন স্বাচ্ছন্দ্যে। তবে বিক্রেতারা বলছেন, ইলিশের সরবরাহ আগামী মাসে আরও বাড়বে। দামও কমে যেতে পারে। এ ছাড়া পিয়াজ, রসুন ও আদার দাম আগের মতোই চড়া। দেশি পিয়াজ প্রতি কেজি ৫৫ থেকে ৬০ টাকা, ভারতীয় পিয়াজ ৫০ থেকে ৫৫, চীনা রসুন ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা ও আদা ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।
সবজির মধ্যে বরবটি, করলা, বেগুনসহ বেশিরভাগ সবজির দাম বেড়েছে। পাকা টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৪০ টাকায়। গাজর বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০ টাকা কেজি। করলার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০-৯০ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ছিল ৫০-৬০ টাকা কেজি। বরবটির দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৮০-৯০ টাকায়। বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকায়। চড়া দামে বিক্রি হওয়া সবজির তালিকায় রয়েছে পটোল, ঝিঙ্গা, ধুন্দল, চিচিঙ্গা, কাঁকরোল, ঢেঁড়স, লাউ।চিচিঙ্গা, ঝিঙ্গা, ধুন্দল বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকা কেজি। কাঁকরোল বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ৪০-৫০ টাকা কেজি। লাউ বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকা পিস। পেঁপের কেজি পাওয়া যাচ্ছে ২০-২৫ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ছিল ৩০-৩৫ টাকা। মিষ্টি কুমড়ার ফালি বিক্রি হচ্ছে ১৫-২০ টাকায়।
ইলিশের কদরে অন্যান্য মাছের দাম কিছুটা কমেছে। বাজারে তেলাপিয়া কেজি ১৬০ টাকা, কাতলা ৪০০ টাকা, দেশি রুই ৩৫০ টাকা, ভারতীয় রুই ২৫০ টাকা, পাঙ্গাশ ১৫০ টাকা, কৈ ২০০-২৫০ টাকা। ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ১২০-১৩০ টাকায়। ফার্মের ডিম প্রতি ডজন ১১০-১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাশাপাশি দেশি মুরগি ৪০০ টাকা, গরুর মাংস ৫৫০ টাকা ও খাসির মাংস ৭৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।