দিনাজপুরের রামসাগর জাতীয় উদ্যানের বাসিন্দা নীলগাইকে কক্সবাজার জেলার ডুলাহাজরা বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে পাঠানো হচ্ছে। রামসাগর জাতীয় উদ্যানকে দর্শকদের কাছে আকর্ষণীয় করতে নীলগাইটিকে সেখানে পাঠানো হয়েছিল। পরে এ উদ্যানের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দায়িত্বহীনতা, অবহেলা আর সমন্বয়ের অভাবে সৌন্দর্যহীন হয়ে পড়ার উপক্রম হয় উদ্যানটির। এমনকি মিনি চিড়িয়াখানার আদলে দৃষ্টিনন্দন করার জন্য সাত জোড়া চিত্রা হরিণ এবং বিলুপ্তপ্রায় একটি নীলগাইকে রাখা হয়। কয়েক দিন ধরে নীলগাইকে অন্য জেলায় নেওয়া হচ্ছে এমন খবরে আগত দর্শনার্থীরা বিস্মিত হন। স্থানীয় দর্শনার্থী এবং পর্যটকদের আকর্ষণে রামসাগর জাতীয় উদ্যানে গড়ে তোলা হয় মিনি চিড়িয়াখানা। চিড়িয়াখানায় মায়াবী চিত্রা হরিণ ছাড়াও অজগর সাপ, বানরসহ বিভিন্ন প্রজাতির পাখি রাখা হয়। কেন নীলগাইকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে বলা হয়, এ বন্য প্রাণীকে খাওয়ানো, দেখভাল করাসহ ভেটেরিনারি সার্জন না থাকায় বিলুপ্তপ্রায় নীলগাইটিকে ডুলাহাজরা বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে নেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া প্রজনন বেশি হওয়ায় ৯টি চিত্রল হরিণকে সিলেট ইকো পার্কে নেওয়া হচ্ছে। এমনটাই জানালেন বন বিভাগের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা রেঞ্জার সাদেকুর রহমান।
রামসাগর জাতীয় উদ্যানে ঘুরতে আসা আকবর আলী ও মোসাদ্দেক হোসেন বলেন, আমরা পরিবার পরিজন নিয়ে প্রাকৃতিক পরিবেশে রামসাগর দেখার জন্য এসেছি। পরে জানলাম নীলগাই ও হরিণ এখান থেকে সরিয়ে ফেলা হচ্ছে। সে কারণে অন্যত্র রাখা হয়েছে। এসবের পরিবর্তে অন্য প্রাণী আনা হলে উদ্যানের আকর্ষণ আরও বেড়ে যাবে। দর্শনার্থী ও পর্যটক আরও বাড়বে।