কবিতা ও গানে গানে মানবতা, সাম্য, প্রেম ও দ্রোহের কথা বলেছিলেন কাজী নজরুল ইসলাম। জাগতিক সব বিষয়ের বাইরে ইসলামী দর্শন ও তার ভিতরের সত্তাকে নাড়া দিয়েছিল দারুণভাবে। বাঙালির আত্ম-পরিচয়ের মূলে নজরুলের অসামান্য সৃষ্টিকর্ম। গানে ও কবিতায় সেই বিষয়গুলোকেই তুলে ধরেছে ছায়ানট। সম্মেলক ও একক গান এবং কবিতা দিয়ে সাজানো ছিল এ আয়োজন। গানের সুরে ও কবিতার দীপ্ত উচ্চারণে জাতীয় কবিকেই মূর্ত করে তুলেছিলেন শিল্পীরা। কবির ৪৩তম মৃত্যুবার্ষিকী পালনে গতকাল সন্ধ্যায় ধানমন্ডির ছায়ানট মিলনায়তনে এভাবেই কবিকে স্মরণ করল দেশের শীর্ষস্থানীয় এই সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানটি। ছায়ানটের শিল্পীদের সম্মেলক কণ্ঠে ‘জাগো অমৃত-পিয়াসি-চিত’ গানটির মধ্য দিয়েই শুরু হয় সন্ধ্যার এই আসর। অনুষ্ঠানে শিল্পীরা সম্মেলক কণ্ঠে আরও পরিবেশন করে ‘এসেছি তব দ্বারে, বেদনার সিন্ধু মন্থন শেষ, ‘নীরন্ধ্র মেঘে মেঘে’, ইত্যাদি গানগুলো। এরপর নজরুলের একক গান পরিবেশন করেন মৌমিতা সরকার মুমু, শুক্লা পাল সেতু, কানিজ হুসনা আহম্মাদী, অর্পিতা চক্রবর্তী, অভিজিৎ কু-ু, তমা সরকার, শেখর ম-ল, সুদীপ্ত শুভ, সুস্মিতা দাস প্রমুখ। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে জাদুঘরে সেমিনার : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে সেমিনারের আয়োজন করেছে জাতীয় জাদুঘর। গতকাল জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয় ‘২৫ সেপ্টেম্বর ১৯৭৪ : জাতিসংঘে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ ও শোষণমুক্ত পৃথিবী গঠনের দার্শনিক ভাবনা’ শীর্ষক এ সেমিনার।
সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। আলোচক ছিলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. হারুন-অর-রশিদ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. দেলোয়ার হোসেন। স্বাগত ভাষণ দেন জাদুঘরের সচিব মো. আবদুল মজিদ। সভাপতিত্ব করেন জাদুঘরের মহাপরিচালক মো. রিয়াজ আহম্মদ।