বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাংলাদেশ আজও পাকিস্তানের দাসত্ব করত বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য ও সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে এই বাংলাদেশের জন্ম হতো না। আজও আমরা পাকিস্তানের দাসত্বের নিগড়ে আবদ্ধ থাকতাম। পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পরই তিনি সেটা উপলব্ধি করছিলেন।’ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে ‘বঙ্গবন্ধুই বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। গতকাল ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের কারাস মিলনায়তনে ঢাবির গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন এর আয়োজন করে। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তোফায়েল আহমেদ বলেন, বিশ্বের নেতাদের মধ্যে শুধু নেলসন ম্যান্ডেলার সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর তুলনা চলে। পৃথিবীতে অনেক নেতা এসেছেন। আরও অনেক নেতা আসবেন। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর মতো নেতা পৃথিবীতে আর জন্মাবে না। সেমিনারে ‘বঙ্গবন্ধুই বাংলাদেশের গোটা ইতিহাস’ শিরোনামে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিভাগের অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম। আরও বক্তব্য দেন পিআইবি পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান আবেদ খান, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন, জিটিভির এডিটর ইন চিফ সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারপারসন অধ্যাপক কাবেরী গায়েন। সভাপতিত্ব করেন অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি স্বপন কুমার দাস। ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, বঙ্গবন্ধু এক বছরের মাথায় সংবিধান উপহার দিয়েছিলেন। জাতি গঠন করতে গিয়ে তিনি সর্বব্যাপী নৈরাজ্য ও নিষ্ঠুরতার মুখোমুখি হয়েছিলেন। আবেদ খান বলেন, ‘এ দেশের রাজনীতিতে বঙ্গবন্ধুকে নানাভাবে বিতর্কিত ও বিলুপ্ত করতে অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছে। সেই ষড়যন্ত্র পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট শেষ হয়নি। চলতে চলতে সেটি ২১ আগস্টের ঘটনায় এসে ঠেকেছে।’ ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, পঁচাত্তরের হত্যাকান্ডের পর বঙ্গবন্ধুর নাম নেওয়া যেত না, ৭ মার্চের ভাষণ শোনা যেত না। সে সময় ইতিহাস পেছনের দিকে হাঁটা শুরু করেছিল। এখন বাংলাদেশের নতুন প্রজন্ম বঙ্গবন্ধুর নাম শুনছে, তাঁর সম্পর্কে জানছে। তাদের আর ইতিহাস ভোলানো যাবে না।
