শনিবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

রাজধানীতে জামদানি উৎসব

সাংস্কৃতিক প্রতিবেদক

আটপৌরে শাড়িই বাঙালি নারীর সৌন্দর্যের প্রধান অনুষঙ্গ। এটি শুধু নারীর সৌন্দর্যের অনুষঙ্গই নয়, আবহমান বাংলার ঐতিহ্যেরও অংশ। এক্ষেত্রে গর্ব করার জায়গা জুড়ে আছে জামদানি। ষষ্ঠদশ শতকে মুঘল শাসকদের পৃষ্ঠপোষকতায় ঢাকার নন্দিত মসলিন হয়ে ওঠে সৃজনসৌকর্যে উৎকৃষ্ট নকশাদার জামদানি। নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের রূপগঞ্জ ও সিদ্ধিরগঞ্জ অঞ্চলের বয়নশিল্পীদেও শৈল্পিকতায় অনবদ্য শিল্প রূপ পেয়েছে। জামদানির গৌরবময় ইতিকথার সঙ্গে বর্তমানের সেতুবন্ধ রচনার উদ্দেশ্যে জাতীয় কারুশিল্প পরিষদ ও বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের যৌথ আয়োজনে শুরু হয়েছে ‘ঐতিহ্যের বিনির্মাণ’ শীর্ষক পাঁচ সপ্তাহের জামদানি উৎসব। গতকাল বিকালে ধানমন্ডির বেঙ্গল শিল্পালয়ে এ উৎসবের উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

কারুশিল্প পরিষদের সভাপতি মো. রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে এতে অতিথি ছিলেন নারায়ণগঞ্জ সিটি মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী এবং ওয়ার্ল্ড ক্রাফটস কাউন্সিল এশিয়া প্যাসিফিক রিজিয়নের প্রেসিডেন্ট ড. গাদাহি জাউয়ি-কাদুমি। উপস্থিত ছিলেন জামদানি উৎসবের কিউরেটর চন্দ্র শেখর সাহা ও বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক লুভা নাহিদ  চৌধুরী। উদ্বোধনী আয়োজনের শুরুতেই অতিথিদের উত্তরীয় পরিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়। ডা. দীপু মনি বলেন, জামদানি শাড়িগুলোর বুননে মিশে রয়েছে এই বাংলার বয়ন শিল্পীদের গৌরবগাথা। মিশে রয়েছে তাদের জীবনের গল্প। একেকটি শাড়ি যেন একেকটি জীবনের কাহিনি। এই জামদানির চাহিদা ছিল মুঘল রাজ দরবারে, ব্রিটিশ রাজপরিবারে। হারিয়ে যেতে বসা জামদানি আবার ফিরে আসছে গৌরবের পথ ধরে। উদ্বোধনী আসরে পাঁচজন শ্রেষ্ঠ জামদানি বয়নশিল্পী ও তাদের সহকারীদের ‘শ্রেষ্ঠ কারুশিল্পী পুরস্কার’ প্রদান করা হয়। পুরস্কারপ্রাপ্তরা হলেন ওস্তাদ মো. সজিব হোসেন ও তার সহকারী মো. আনোয়ার হোসেন, মো. মোতালিব ও তার সহকারী নূর আলম,  মো. মুনির ও তার সহকারী আবু বকর, ওস্তাদ মো. সিদ্দিক ও তার সহকারী মাকসুদা এবং মো. জামাল ও  তার সহকারী শাকিল। প্রদর্শনী উপলক্ষে প্রকাশিত ক্যাটালগের মোড়ক উন্মোচন করেন বেঙ্গল পাবলিকেশন্সের নির্বাহী পরিচালক আবুল হাসনাত, কারুশিল্প পরিষদের নির্বাহী সদস্য রুবী গজনভী এবং বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আবুল খায়ের লিটু। রবিবার সাপ্তাহিক ছুটি ছাড়া প্রতিদিন দুপুর ১২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে উৎসবের প্রদর্শনী। ১২ অক্টোবর শেষ হবে পাঁচ সপ্তাহের এ উৎসব।

 

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর