মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা
সেমিনারে বক্তারা

নদীভাঙন পাহাড়ধস রোধ করবে বিন্না ঘাস

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রতি বছর নদীর পাড় ভেঙে বিলীন হয় গ্রামের পর গ্রাম। পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয় জনপদ। বিলীন হয় রাস্তাঘাট। পানির তোড়ে নদীগর্ভে হারিয়ে যায় শহররক্ষা বাঁধের কংক্রিটের ব্লক। পাহাড়ধসে মৃত্যু হয় অনেক মানুষের। বিন্না ঘাস লাগিয়ে প্রাকৃতিক উপায়েই এসব সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। গতকাল রাজধানীর সড়ক ভবনে ‘বিন্না ঘাস দিয়ে জৈব প্রকৌশল পদ্ধতিতে মাটির ঢাল স্থিতিশীলকরণ’বিষয়ক এক সেমিনারে এ কথা জানান অনুষ্ঠানের প্রধান বক্তা বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শরিফুল ইসলাম। সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলীর কনফারেন্স রুমে সেমিনারটির আয়োজন করে সড়ক ও জনপথ প্রকৌশলী সমিতি। সার্বিক সহযোগিতায় ছিল বসুন্ধরা সিমেন্ট। আয়োজক সংগঠনের সভাপতি প্রকৌশলী মো. আবদুস সবুরের সভাপতিত্বে সেমিনারে সরকারের বিভিন্ন দফতরে কর্মরত প্রকৌশলীরা অংশ নেন।

বসুন্ধরা সিমেন্টের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন জেনারেল ম্যানেজার (সেলস) প্রকৌশলী মো. মাহমুদুল হাসান, ম্যানেজার (টেকনিক্যাল সাপোর্ট) প্রকৌশলী ইমাম আলদ কুদরত-ই-এলাহি প্রমুখ। মূল প্রবন্ধে ড. মোহাম্মদ শরিফুল ইসলাম বলেন, বিন্না ঘাসের শিকড় মাটির নিচে ৮-১০ ফুট পর্যন্ত যায়। ফলে মাটির ঢালের ভাঙন রোধে এটা খুব কার্যকর। এ ঘাস দূষিত মাটি ও পানি থেকে ভারী ধাতব শোষণ করে নেয়।

তাই বুড়িগঙ্গার পানি ও মাটিকে দূষণমুক্ত করতে বিন্না ঘাস ব্যবহার করা যায়। গবেষণায় দেখা গেছে, বাংলাদেশের প্রায় সব জায়গার মাটিতে এ ঘাস হয়। এমনকি তীব্র লবণাক্ত মাটিতেও এটি বেঁচে থাকে। বিশ্বের শতাধিক দেশ মাটির ক্ষয় ও ভাঙন রোধে এ ঘাস ব্যবহার করছে। এ ছাড়া বিন্না ঘাসের শিকড় দিয়ে আতর তৈরি হয়। গবাদি পশুর খাবার ছাড়াও এ ঘাস ব্যাগ, কার্পেট, ঝুড়ি ইত্যাদি তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর