শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

সাত হাজার অবৈধ পাম্প মালিকের বিরুদ্ধে শিগগিরই অভিযান

কাজী শাহেদ, রাজশাহী

সাত হাজার অবৈধ পাম্প মালিকের বিরুদ্ধে শিগগিরই অভিযান

প্রতিষ্ঠার পর অনেকটাই ঢিমেতালে চলা রাজশাহী ওয়াসা অবশেষে নড়েচড়ে উঠেছে। নগরীতে গড়ে ওঠা যত্রতত্র অনুমোদনবিহীন প্রায় সাড়ে ৭ হাজার গভীর নলকূপ শনাক্ত করে তাদের বিরুদ্ধে অভিযানের ঘোষণা দিয়েছে। নগরীর পানি উত্তোলন ও সরবরাহে শৃঙ্খলা ফেরাতে সেই সব পাম্পের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ইতিমধ্যে অভিযানে নেমেছে রাজশাহী ওয়াসা। সরকারি-বেসরকারি অফিস ও বহুতল ভবনে পানি উত্তোলন চলছে এসব নলকূপ দিয়ে। এগুলো চিহ্নিত করার কাজ চলছে। যেগুলো চিহ্নিত হয়েছে, তাদের নোটিস পাঠানো শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই অভিযান শুরু করেছে ওয়াসা কর্তৃপক্ষ।

এরই মধ্যে রাজশাহীর ওয়াসার পক্ষ থেকে মহানগরীর ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের পদ্মা আবাসিক ও জামালপুর এলাকায় অভিযান চালানো হয়েছে। রাজশাহী ওয়াসার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মির্জা ইমাম উদ্দিনের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানের সময় বিলখেলাপি গ্রাহক ও পানির অবৈধ সংযোগ গ্রহণকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার প্রথম দিনের অভিযানে ৬টি অবৈধ সংযোগ            বিচ্ছিন্ন করা হয় এবং অনিয়মের অভিযোগে ২টি মামলা দায়ের করা হয়। অভিযানে ১৯ হাজার টাকা জরিমানাও আদায় করা হয়। রাজশাহী ওয়াসার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রাজশাহী মহানগরীতে ওয়াসার বিলখেলাপি গ্রাহকদের ও পানির অবৈধ সংযোগ গ্রহণকারীদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, নগরীর যে কোনো স্থানে ব্যক্তি উদ্যোগে গভীর নলকূপ (সাব-মার্সিবল পাম্প) বসাতে হলে অনুমোদন নেওয়া বাধ্যতামূলক। এ জন্য নির্ধারিত ফি দিতে হয়। কিন্তু রাজশাহী নগরীতে অনুমোদন নেওয়া গভীর নলকূপ আছে মাত্র ১৪১টি। বাকিগুলো অনুমোদন ছাড়াই বসানো হয়েছে। এতে ওয়াসা বিপুল পরিমাণ রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।         রাজশাহী ওয়াসার তথ্য মতে, আইন অনুযায়ী তাদের সরবরাহ করা পানি ব্যবহার করলে ভোক্তাকে নির্দিষ্ট পরিমাণ বিল দিতে হয়। আবার কেউ এই পানি ব্যবহার না করে নিজ উদ্যোগে গভীর নলকূপ বসিয়ে পানি তুললেও টাকা দিতে হবে। দেড় থেকে চার ইঞ্চি ব্যাসের পাইপের জন্য আবাসিক ও সামাজিক প্রতিষ্ঠানে এককালীন ১০ হাজার, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে ১৫ হাজার এবং শিল্প খাতে ২০ হাজার টাকা ফি দিতে হবে। প্রতিবছর নবায়নের ক্ষেত্রেও একই পরিমাণ ফি দিতে হবে। অন্যদিকে, ৫ থেকে ৬ ইঞ্চি ব্যাসের পাইপের ক্ষেত্রে আবাসিক ও সামাজিক প্রতিষ্ঠানের ৪০ হাজার, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের জন্য ৬০ হাজার ও শিল্প খাতের জন্য ৮০ হাজার টাকা এককালীন অনুমোদন ফি লাগবে। একই পরিমাণ টাকা দিতে হবে বার্ষিক নবায়ন ফি হিসেবেও। এ ছাড়া ৮ ইঞ্চি ব্যাসের পাইপের জন্য আবাসিক ও সামাজিক প্রতিষ্ঠানের জন্য ৬০ হাজার, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে ৯০ হাজার ও শিল্প খাতে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা দিতে হবে অনুমোদন ফি হিসেবে। ২০১৭ সালের ১ জানুয়ারি থেকে রাজশাহী ওয়াসার এই আইন চালু আছে। তবে এতদিন কার্যকর না হলেও এখন নড়েচড়ে বসেছে ওয়াসা কর্তৃপক্ষ।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর