সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা
সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল

সরকার দেশে নির্বাচনী স্বৈরতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ছাত্রলীগের সভাপতি-সম্পাদককে বাদ দেওয়ায় প্রমাণ হয়েছে দেশে কী হারে দুর্নীতি চলছে। তবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ায় আমরা খুশি হয়েছি। গতকাল রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। মির্জা ফখরুল বলেন, এ ঘটনা প্রমাণ করে দুর্নীতি কোথায় গিয়ে পৌঁছেছে। অন্যদিকে সমস্ত গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে দেশে ‘নির্বাচনী স্বৈরতন্ত্র’ প্রতিষ্ঠা করেছে এ সরকার। ছাত্রদলের কাউন্সিল বন্ধের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, এটা একটা নজিরবিহীন ঘটনা        যে একটা রাজনৈতিক দলের রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করছে আদালত। আবার সেটা সরকারই করাচ্ছে। সরকারের উদ্যোগেই হচ্ছে। এতে প্রমাণ করে যে এই সরকার গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। বহুদলীয় গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। বিরোধী দলেও বিশ্বাস করে না। বিএনপি মহাসচিব বলেন, আশির দশক থেকে শুরু করে গণতন্ত্রের অতন্দ্র প্রহরী বেগম খালেদা জিয়া। তিনি বারবার গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলন করে নিজেকে উৎসর্গ করেছেন। তিনি আজ মিথ্যা মামলায় কারাবন্দী। তিনি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘আসুন, বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি, গণতন্ত্র মুক্তি, সুশাসন প্রতিষ্ঠা, অর্থনৈতিক বৈষম্য দূর করা ও উদার গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় রাষ্ট্র বিনির্মাণ করি।’  ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, দেশে দুই ধরনের আইন চলছে। একটা সরকারি দলের জন্য। অন্যটা বিরোধী দলের জন্য। দেশে যদি একটা আইন থাকত তাহলে আজকের প্রধানমন্ত্রীকেও ট্রায়াল ফেস করতে হতো।  এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী প্রমুখ।

 

সর্বশেষ খবর