সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

ডিআইজি পার্থর জামিন ফের নাকচ

আদালত প্রতিবেদক

দুর্নীতি মামলায় সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের সাবেক ডিআইজি (প্রিজন) পার্থ গোপাল বণিকের জামিন আবেদন ফের নাকচ করেছে আদালত। গতকাল ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতের বিচারক কে এম ইমরুল কায়েশ এ আদেশ দেন। এর আগে আসামির আইনজীবী কামরুল ইসলাম জামিন চেয়ে আদালতে শুনানি করেন। অন্যদিকে জামিন আবেদনের বিরোধিতা করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী মোশারফ হোসেন কাজল। শুনানি শেষে জামিন আবেদন নাকচ করে দেন বিচারক। এর আগে ২৯ জুলাই একই আদালত এই আসামির জামিন আবেদন নাকচ করে। মামলাসূত্রে জানা     যায়, ২৮ জুলাই রাজধানীর ধানমন্ডির নর্থ রোডের (ভূতের গলি) ২৭-২৮/১ নম্বর বাসার বি/৬ নম্বর ফ্ল্যাট থেকে ঘুষের ৮০ লাখ টাকাসহ গ্রেফতার করা হয় পার্থকে। তার আগে সেগুনবাগিচায় দুদক প্রধান কার্যালয়ে পার্থ গোপাল বণিককে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক। পরে দুপুরে তাকে নিয়ে ঘুষ, দুর্নীতির মাধ্যমে আয় করা টাকা উদ্ধারে অভিযানে বের হয় দুদক টিম। পরে ধানমন্ডির নর্থ রোডের (ভূতের গলি) ২৭-২৮/১ নম্বর বাসার বি/৬ নম্বর ফ্ল্যাটে অভিযান চালানো হয়। এ সময় পার্থের ব্যবহার করা একটি প্রাইভেট কারও জব্দ করা হয়। ওই বাসায় পার্থ ও তার স্ত্রীসহ পরিবারের সদস্যরা বসবাস করেন। এর আগে ২০১৮ সালের ২৬ অক্টোবর চট্টগ্রাম কারাগারের জেলার সোহেল রানা বিশ্বাসকে ময়মনসিংহগামী ট্রেন থেকে ৪৪ লাখ ৪৩ হাজার টাকা, আড়াই কোটি টাকার এফডিআর, ১ কোটি ৩০ লাখ টাকার ব্যাংকের চেক, ১২ বোতল ফেনসিডিলসহ গ্রেফতার করে রেলওয়ে পুলিশ। চট্টগ্রাম থেকে ময়মনসিংহে গ্রামের বাড়ি যাওয়ার পথে গ্রেফতার হন তিনি। পরে সোহেল রানার বিষয়ে অনুসন্ধানে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের দুর্নীতি নিয়ে নানা তথ্য পায় সরকারের গঠিত তদন্ত কমিটি। তদন্ত কমিটির প্রধান ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মনিরুল আলম।

 কমিটি তখন চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের তৎকালীন ডিআইজি প্রিজনস পার্থসহ ৪৯ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর দুর্নীতির তথ্য পায়। পরে তাদের বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। তাদের সম্পদের হিসাব বিবরণীও চাওয়া হয়। এর অংশ হিসেবে পার্থ গোপালও সম্পদের হিসাব বিবরণী জমা দেন।

 

সর্বশেষ খবর