রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (শেকৃবি) ক্যাম্পাসে মাদকের দৌরাত্ম্য বেড়েছে। মাদক সহজলভ্য হওয়ায় পাল্লা দিয়ে বেড়েছে মাদকসেবী শিক্ষার্থীর সংখ্যাও। এর আসক্তি থেকে বাদ যাচ্ছেন না ছাত্রীরা পর্যন্ত। অভিযোগে জানা গেছে, আবাসিক হলগুলোর পাশাপাশি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন পয়েন্টে নিয়মিত বসছে মাদক সেবনের আসর। মাদকের টাকা জোগাতে শিক্ষার্থীরা জড়িয়ে পড়ছেন চুরি ও ছিনতাইয়ের সঙ্গে। নির্ভরযোগ্য সূত্রের তথ্যানুযায়ী, ছাত্রদের ৩টি আবাসিক হলে মধ্যরাতে মাদকের আসর বসছে। নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা হলের দুই ব্লকের ছাদে, ‘এ’ ব্লকের ৫ম তলা ও ৭ম তলা, ‘বি’ ব্লকের ২য় তলায়, কবি কাজী নজরুল ইসলাম হলের ছাদে, ‘এ’ ব্লকের ২য় তলার ৩টি ও ৬ষ্ঠ তলার ২টি কক্ষ এবং ‘বি’ ব্লকের ৩য় তলার ১টি কক্ষে নিয়মিত বসে ইয়াবা, মদ ও গাঁজার আসর।
সিরাজ-উদ-দৌলা হলের ২য় বর্ষের এক আবাসিক শিক্ষার্থী জানান, ‘গত ২৪ জুলাই মাদকের আসর বসার খবর সহকারী প্রক্টর রুহুল আমিন ও গত ৪ আগস্ট ইয়াবার আসর বসার খবর প্রক্টর ফরহাদ হোসেন স্যারকে জানানো হলে তারা বলেন, ‘মটি তো সামাজিক সমস্যা। এ ব্যাপারে কীই-বা করা যায়!’ এ ধরনের কথা বলে তারা ফোনের সংযোগ কেটে দেন। বিভিন্ন সূত্র জানায়, চিহ্নিত ১৯ জন ব্যবসায়ী ক্যাম্পাসে মাদক সরবরাহের সঙ্গে জড়িত। বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন নিরাপত্তা প্রহরী, এক গাড়িচালকের ভাই, দোয়েল ভবনের লিফটম্যান, বোটানি ল্যাবের এক অ্যাটেনডেন্টের ছেলে ও বস্তির কয়েকজন ভাড়াটিয়া মাদকদ্রব্য সরবরাহের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে জড়িত। এ ছাড়া ক্যাম্পাসে পাইকারি ও খুচরা মাদক ব্যবসার সঙ্গে বেশ কয়েকজন ছাত্রও জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে। এসব বিষয়ে প্রক্টর ফরহাদ হোসেন গতকাল বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের বস্তি আমাদের গলার কাঁটা। এ কারণেই মাদকের বিস্তার হচ্ছে। বাইরের চাপে আমরা বস্তিটি উচ্ছেদ করতে পারছি না।’ তিনি বলেন, ‘ক্যাম্পাসের ভিতরে জড়িতদের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট তথ্য পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’