মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের বাতিঘরে আড্ডা

সাংস্কৃতিক প্রতিবেদক

শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের বাতিঘরে আড্ডা

প্রকাশনা সংস্থা বাতিঘরের আয়োজনে গতকাল সকালে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয় খ্যাতনামা ভারতীয় সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের আড্ডা -বাংলাদেশ প্রতিদিন

জন্মস্থান এপার বাংলায় হলেও জনপ্রিয়তা পেয়েছেন ওপার বাংলায়। এখন তার জনপ্রিয়তা বাংলা সাহিত্যের সারা বিশ্বের অনুরাগীদের মাঝে। তিনি শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়। নিজের সৃষ্টিশীলতা দিয়ে জয় করেছেন অগণিত সাহিত্যামোদিদের হৃদয়। যাও পাখি, মানবজমিন, দুরবিন, পারাপার ও পার্থিবসহ অসংখ্য জনপ্রিয় উপন্যাসের রচয়িতা শীর্ষেন্দু এপার বাংলায় এলেন এবং নিজের লেখক হয়ে ওঠার গল্প বললেন এদেশের ভক্তদের কাছে। নিজের না বলা কথাগুলো তুলে প্রকাশ করেন এদেশের পাঠকদের সামনে। প্রকাশনা সংস্থা বাতিঘরের আয়োজনে গতকাল সকালে অনুষ্ঠিত হয় এ  সাহিত্য আড্ডা। শীর্ষেন্দু বলেন, বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি, এখানে এলে নিজের দেশের অনুভূতি হয়। দেশভাগের সময় পরিবার থেকেও দূরে সরে যাই। তখন থেকেই নিজের একটা পরিচয় তৈরির তাগিদ অনুভব করি। যেহেতু লেখা আর পড়া ছাড়া অন্য কিছু পারতাম না তাই লেখাটাকেই বেছে নিই। দেশ ম্যাগাজিনে লেখা ছাপা হওয়ার পর সেখানে নিয়মিত লেখা শুরু করি। ওপার বাংলার এই লেখক বলেন, বাংলাদেশে পশ্চিমবঙ্গের থেকে পাঠক ৫-৭ গুন বেশি। তবে আফসোসের বিষয় এখানে পাইরেসির কারণে রয়ালিটির যোগ্য সম্মান পাওয়া যায় না। তিনি বলেন, আমি কখনো প্লট ভেবে লিখি না।

চরিত্ররাই আমাকে লিখিয়ে নেয়। আমি লিখব, পাঠক সেটা  নেবে কী নেবে না, তা পাঠকের বিষয়। লেখালেখিকে পেশা হিসেবে নেওয়াটা বিপজ্জনক।

শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় বলেন, বাংলাদেশে যে মানুষটি আমাকে সবচেয়ে বেশি আকর্ষণ করেছেন তিনি হলেন, আল মাহমুদ। এত শক্তিমান কবি পশ্চিমবঙ্গেও কম আছেন। তিনি আরও বলেন, আমরা  যে ভুবনে বাস করছি  সেই ভুবনটাকে আমরাই ধ্বংস করছি। এই যে আমাজনে আগুন লাগল। আমি তো মনে করি আমাজনে আগুন লাগানো হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলছেন, আমাদের দেশে তো এখন প্রচ  শীত। তাহলে কীভাবে গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের কথা স্বীকার করব। তিনি বুঝতেই পারছেন না যে ক্লাইমেট আর ওয়েদার এক জিনিস নয়।

বাংলাদেশে তার প্রিয় লেখকদের তালিকায় কারা আছেন এমন প্রশ্নে তিনি জানান হূমায়ূন আহমেদ ও ইমদাদুল হক মিলন তার প্রিয় লেখকদের তালিকায় আছেন। দেড় ঘণ্টার আলাপচারিতা শেষে পাঠকদের অটোগ্রাফ দেন শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়।

ওশান ড্যান্স ফেস্টিভ্যাল : ২২ নভেম্বর সমুদ্রকন্যা কক্সবাজারের সৈকতে বসছে ‘ওশান ড্যান্স ফেস্টিভ্যাল ২০১৯’ শিরোনামের চারদিনের নাচের আসর। বিশ্বব্যাপী নৃত্যশিল্পীদের সংগঠন দ্য ওয়ার্ল্ড ডান্স অ্যালায়েন্স এশিয়া প্যাসিফিক (ডব্লিউডিএ-এপি) তাদের বার্ষিক উৎসবের অংশ হিসেবে বাংলাদেশে এ নৃত্য উৎসবের আয়োজন করতে যাচ্ছে। একই সময়ে ডব্লিউডিএ-এপির বাংলাদেশ শাখা নৃত্যযোগ শুরু করতে যাচ্ছে ‘ওশান ডান্স ফেস্টিভ্যাল’ নামের একটি দ্বি-বার্ষিক নৃত্য উৎসব। বাংলাদেশের সমুদ্রসৈকতের সৌন্দর্যের সঙ্গে সাংস্কৃতিক পর্যটনের  মেলবন্ধন রচনার জন্য প্রথমবারের মতো নৃত্যযোগের এ আয়োজন। এশিয়ার ১৫টি দেশ থেকে এ উৎসবে অংশ নেবেন প্রায় ২ শতাধিক নৃত্যশিল্পী, শিক্ষক, গবেষক ও কোরিওগ্রাফার। ২৫ নভেম্বর শেষ হবে চারদিনের এই নৃত্য উৎসব। গতকাল বিকালে রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান এই আয়োজনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা।

সোনাই মাধব : গতকাল সন্ধ্যায় শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার পরীক্ষণ থিয়েটার হলে মঞ্চায়ন হয় যাত্রাপালা ‘সোনাই মাধব’। পালাটির আধুনিক রূপায়ণ, পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় ছিলেন শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী। বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেন লিয়াকত আলী লাকী, রোকসানা, জাহিদুল কবির, রহিমা খাতুন, উম্মে মরিয়ম, কিশোয়ার জাহান, মোমিন মিয়া, সুচিত্রা রানী সূত্রধর, রওশন হোসেন, তাজুল ইসলাম মুন্সি প্রমুখ।

সর্বশেষ খবর