বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

ইসিতে জালিয়াতির ঘটনায় তোলপাড় আতঙ্কে কর্মকর্তারা

সাইদুল ইসলাম, চট্টগ্রাম

রোহিঙ্গাদের জালিয়াতির মাধ্যমে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) পাইয়ে দেওয়ার ঘটনায় চট্টগ্রাম নির্বাচন কার্যালয়সহ সারা দেশে ব্যাপক আলোচনা ও তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। এতে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন ঘটনায় জড়িত দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা রীতিমতো আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন। অন্যদিকে এ ঘটনায় দুদক মামলা না করে নির্বাচন অফিসের কর্মকর্তা বাদী হয়ে মামলা করা নিয়েও রয়েছে নানা গুঞ্জন। অনেকেই বলছেন, দুদকের তদন্তে আসল রহস্য উঠে আসবে, সেই আতঙ্কে কৌশলে নিজেরাই মামলা করেছেন। এর আগে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে  চট্টগ্রামে এসেই নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম সাংবাদিকদের বলেছিলেন। এদিকে জালিয়াতির মাধ্যমে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) পাইয়ে দেওয়ার ঘটনায় নির্বাচন অফিসের জড়িত কর্মচারীসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। পাঁচজনের মধ্যে একজন শুধু নির্বাচন অফিসের কর্মচারী। সোমবার রাতে নগরীর ডবলমুরিং থানার নির্বাচনী কর্মকর্তা পল্লবী চাকমা বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেছেন। কোতোয়ালি থানার ওসি মোহাম্মদ মহসিন বলেন, নির্বাচন কমিশনের চুরি হওয়া লাইসেন্স করা ল্যাপটপ ব্যবহার করে রোহিঙ্গা ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তি এবং এনআইডি পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের কাছ  থেকে উদ্ধার করা হয় চুরি হওয়া ল্যাপটটিও। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তা-কর্মচারী বলেন, এ জালিয়াতির ঘটনায় শুধু কর্মচারী জয়নাল জড়িত নন, তখনকার দায়িত্বশীল ছাড়া বিভিন্ন সময়ে দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও জড়িত থাকতে পারেন। মামলা সূত্রে জানা গেছে, গ্রেফতার হওয়া তিনজনের মধ্যে একজন ডবলমুরিং থানা নির্বাচন কার্যালয়ের অফিস সহায়ক জয়নাল আবেদিন (৩০)।

 বাকি দুজন গাড়িচালক বিজয় দাশ (২৬) ও তার বোন সীমা দাশ ওরফে সুমাইয়া আক্তার (২৩)। জানা গেছে, ২০১৪ সালে খোয়া যাওয়া ল্যাপটপটি জয়নালের হেফাজতে ছিল। সেটি ব্যবহার করেই কয়েকজন রোহিঙ্গা নাগরিককে বাংলাদেশের এনআইডি পাইয়ে দেওয়া হয়েছে এবং তাদের তথ্য কেন্দ্রীয় তথ্যভা ারে পাঠানো হয়েছে। জয়নাল ল্যাপটপটি রেখেছিল তার ঘনিষ্ঠ বিজয় ও সীমার হেফাজতে। জানা গেছে, লাকী নামের এক নারী ১৮ আগস্ট স্মার্ট কার্ড তুলতে জেলা নির্বাচন কার্যালয়ে গেলে তার হাতে পুরনো এনআইডিতে ১৭ ডিজিটের নম্বর দেখে কর্মকর্তাদের সন্দেহ হয়। জেরার মুখে লাকী নিজের প্রকৃত নাম রমজান বিবি এবং ২০১৪ সালে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে আসার পর টেকনাফের মুচনী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ছিলেন বলে স্বীকার করেন।

 

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর