রাজশাহী জেলা পরিষদের জমি রক্ষায় সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন সিটি করপোরেশনের মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন ও সদর আসনের এমপি ফজলে হোসেন। তারা বলেছেন, বিষয়টি নিয়ে সরকারের ঊর্ধ্বতন মহলেও কথা বলবেন। জেলা পরিষদের জমিতে অন্য কেউ নিতে পারবে না। সম্প্রতি রাজশাহী মহানগরীর সিঅ্যান্ডবি মোড়ে জেলা পরিষদের ৪৭ শতক জমি দখল করে রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) সদর দফতর নির্মাণের কাজ শুরু হয়। ভেঙে ফেলা হয় জেলা পরিষদের ঐতিহ্যবাহী একটি ডাকবাংলোও। এ নিয়ে জেলা পরিষদের আপত্তির পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টি মন্ত্রণালয় পর্যন্ত গড়ায়। গেল ২২ আগস্ট স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের মধ্যে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় এ জটিলতা নিরসনে একটি কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়। বিভাগীয় কমিশনার নূর-উর-রহমান কমিটির প্রধান। এরপর মঙ্গলবার কমিটির সদস্যরা জমি পরিমাপ করে দেখেন আরএমপি তাদের জমির সীমানা ছাড়িয়ে জেলা পরিষদের ভিতরে ভবন নির্মাণ শুরু করেছে। এ সময় সরকার মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব শায়লা শারমিন এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের উপ-সচিব আজিজ হায়দার ভূঁইয়াও উপস্থিত ছিলেন। তবে তখন এ ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। বিষয়টি নিয়ে বুধবার সকালে রাজশাহী সিটি মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটনের সঙ্গে মতবিনিময় করেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী সরকারসহ সব সদস্য। জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান তাকে অবহিত করেন যে, জেলা পরিষদ জমি ছাড়তে রাজি নয়। এখানে তিন তারকাবিশিষ্ট একটি হোটেল নির্মাণের পরিকল্পনা আছে। মেয়র এতে সম্মতি দেন। জেলা পরিষদের এ জমি রক্ষায় তিনি সব ধরনের সহযোগিতারও আশ্বাস দিয়েছেন। পরে রাজশাহী-২ (সদর) আসনের এমপি ফজলে হোসেন বাদশার সঙ্গেও এ নিয়ে মতবিনিময় করেন চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী সরকার। দুপুরে চেয়ারম্যানের দফতরেই এ মতবিনিময় হয়।
এ সময় চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী সরকার জমির ব্যাপারে এমপি ফজলে হোসেন বাদশার সহযোগিতা কামনা করেন। বাদশাও তাকে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন। এ সময় জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান-১ নাঈমুল হুদা রানা, জেলা পরিষদের সদস্য স্থাপনাবিষয়ক উপ-কমিটির আহ্বায়ক আবুল ফজল প্রামাণিক, সদস্য আবদুস সালাম, মোফাজ্জল হোসেন, আবদুর রশিদ, আবু জাফর মাস্টার, আজিবর রহমান, সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ডের সদস্য কৃষ্ণা দেবী, শিউলী রানী সাহা, রাবেয়া খাতুন সিমা, জয়জয়ন্তী সরকার মালতি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
