সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা
ক্ষোভ বাড়ছে রাজশাহীতে

সওজের পর এবার গাছ কাটছে বন বিভাগ

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

কাশিয়াডাঙ্গা-দামকুড়া-আমনুরা সড়কের পর এবার রাজশাহী-নওগাঁ মহাসড়কের পাশে থাকা বৃক্ষনিধন শুরু হয়েছে। ১৭ দিন ধরে এ সড়কের পাশে থাকা গাছগুলো কেটে নিয়ে যাচ্ছেন ঠিকাদার। সামাজিক বনবিভাগ দরপত্রের মাধ্যমে গাছগুলো বিক্রি করেছে। ওই সড়কের পাশে থাকা সড়ক ও জনপথ বিভাগ এবং জেলা পরিষদও তাদের গাছগুলো বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে। রাজশাহীজুড়ে গাছ কাটার মহাযজ্ঞ শুরু করেছে সওজ, সামাজিক বন বিভাগ, জেলা পরিষদ, বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এবং সিটি করপোরেশন। প্রতিষ্ঠানপ্রধানদের দাবি, সড়ক সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন কাজের জন্য এসব কাছ কেটে ফেলা হচ্ছে। সড়কের পাশে থাকা লক্ষাধিক গাছ কেটে ফেলা হয়েছে গত এক দশকে। সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্র জানায়, কাশিয়াডাঙ্গা থেকে কাঁকনহাট হয়ে আমনুরা পর্যন্ত ৩৫ কিলোমিটার সড়ক পুনর্নির্মাণ ও প্রশস্ত করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। সড়কটি চওড়া করতে দুধারে থাকা মূল্যবান এসব গাছ কাটা হচ্ছে। রাজশাহী-নওগাঁ মহাসড়কটি চার লেনের করা হবে। এ কারণে ওই সড়কের গাছ কাটছে সামাজিক বন বিভাগ। ওই সড়কের পাশে থাকা সওজের গাছগুলোও কাটা হবে। সে জন্য দরপত্র প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সড়ক ও জনপথের নির্বাহী বৃক্ষপালনবিদ ড. জাহাঙ্গীর ফিরোজ জানান, গাছগুলো রেখে সড়কটি প্রশস্ত করা সম্ভব ছিল না। এ কারণে গাছগুলো দরপত্র প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কেটে ফেলা হয়েছে। ওই সড়কে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, সামাজিক বন বিভাগ ও জেলা পরিষদের গাছ আছে। তারা পর্যায়ক্রমে কেটে নেবে। উন্নয়নের স্বার্থেই গাছ কাটা হলেও সড়ক নির্মাণ শেষে ওই সড়কগুলোর পাশে আবার গাছ লাগানো হবে। রাজশাহী সামাজিক বন বিভাগের উপ-বনসংরক্ষক আহম্মেদ নিয়ামুর রহমান জানান, কোনো গাছ কাটতে হলে সামাজিক বনবিভাগের অনুমতি নেওয়ার বাধ্যবাধকতা আছে। কিন্তু কোনো দফতরই গাছ কাটার সময় তাদের অনুমতি নেয় না। বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন-বাপার রাজশাহী শাখার সভাপতি মো. জামাত খান বলেন, ‘আমরা উন্নয়নবিরোধী নই। প্রধানমন্ত্রীও গাছ কাটার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। এরপরও নির্বিচারে বৃক্ষ নিধন চলছেই।’

সর্বশেষ খবর