বৃহস্পতিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা
পশ্চিমাঞ্চল রেল

উদ্ধার করা ভূমি আবার বেদখল

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

উদ্ধার করা ভূমি আবার বেদখল

পশ্চিমাঞ্চল রেলে মাত্র চার মাস আগেই চালানো হয়েছিল উচ্ছেদ অভিযান। কিন্তু মাত্র চার মাস না যেতেই আবার দখল হয়েছে রেলের ফাঁকা জমিগুলো। সেখানে নতুন করে গড়ে উঠছে বসতি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও প্রভাবশালীদের কার্যালয়। পশ্চিমাঞ্চল রেলের জমির পরিমাণ ৩৭ হাজার ৪১৯ একর। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে নতুন প্রকল্পের আরও তিন হাজার একর জমি। রেলের হিসাবে, এর মধ্যে দুই হাজার ৭০০ একর জমি স্থায়ী বেদখল হয়ে আছে। অস্থায়ী দখলে আছে আরও কয়েক হাজার একর জমি। যার হিসাব রেলের নথিতেও নেই। বিপুল জমি বেদখল হলেও উদ্ধার করতে পারছে না কর্তৃপক্ষ। রেলের দখল হয়ে যাওয়া জমিতে গড়ে উঠেছে আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবনসহ বড় বড় স্থায়ী ভবন। রংপুর, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগ এবং বৃহত্তর ফরিদপুরের পাঁচ জেলা পশ্চিমাঞ্চলের আওতায়। পশ্চিমে সবচেয়ে বেশি জমি আছে সৈয়দপুর, পার্বতীপুর, লালমনিরহাট, সান্তাহার, সিরাজগঞ্জ, ঈশ্বরদী, পাকশী, রাজবাড়ী ও চুয়াডাঙ্গায়। এসব এলাকায় দখলের পরিমাণও অনেক বেশি। পশ্চিমাঞ্চল রেলপথের দৈর্ঘ্য এক হাজার ৯০০ কিলোমিটার। ৪০ হাজার একর জমি ছড়িয়ে আছে এই বিশাল এলাকাজুড়ে। তবে লোকবল খুবই কম।  প্রধান ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা আবদুল মান্নান বলেন, উচ্ছেদ অভিযানে গেলেই দখলদাররা আদালত থেকে স্থগিতাদেশ নিয়ে আসেন। মামলা পরিদর্শকের অভাবে এসব মামলার তদারকি করা যায় না। এ ছাড়া দখলদারদের বিরুদ্ধে থানা কোনো মামলা নেয় না। আদালতে মামলা করতে গেলেও মামলা পরিদর্শকের সঙ্গে সমন্বয়ের অভাবে মামলা করা যায় না।

পশ্চিমাঞ্চল রেলের বিভাগীয় ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা নুরুজ্জামান বলেন, উচ্ছেদ অভিযানের জন্য একদিনের এস্ক্যাভেটর ভাড়া লাগে ৩৫ থেকে ৫০ হাজার টাকা। এ কারণে উচ্ছেদ করতে চাইলেও সব সময় স্বল্প বাজেটের মধ্যে এস্ক্যাভেটর ভাড়া করা সম্ভব হয় না।

সর্বশেষ খবর