শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা
ব্যয় হবে ৬৫০ কোটি টাকা

সিলেটে হচ্ছে আরেকটি ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট

শাহ্ দিদার আলম নবেল, সিলেট

ক্রমবর্ধমান সিলেট নগরীতে পানির চাহিদাও বাড়ছে সমানতালে। কিন্তু চাহিদার সমপরিমাণ বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করতে পারছে না সিটি করপোরেশন (সিসিক)। নগরীতে প্রতিদিন প্রায় ৮ কোটি লিটার পানির চাহিদা থাকলেও সরবরাহ করা হচ্ছে সাড়ে ৪ কোটি লিটারের মতো। ফলে বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট লেগেই আছে সিলেট নগরীতে।  এ অবস্থায় সিলেটের সারি নদীর প্রবাহ চেঙ্গেরখালে ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিসিক। প্ল্যান্টটির পানি শোধনের সক্ষমতা হবে ৫ কোটি লিটার। এ প্রকল্পে ব্যয় হবে ৬৫০ কোটি টাকা। প্রকল্পটি বর্তমানে একনেকে উপস্থাপনের অপেক্ষায় রয়েছে। সিলেট সিটি করপোরেশনের পানি শাখা থেকে জানা গেছে, বর্তমানে নগরীতে দুটি ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট (পানি শোধনাগার) আছে। নগরীর কুশিঘাট এলাকার প্ল্যান্টটির পানি পরিশোধ সক্ষমতা দৈনিক ২ কোটি ৮০ লাখ লিটার। কিন্তু বর্তমানে এ প্ল্যান্টে ৭৭ লাখ লিটার পানি শোধন করা সম্ভব হচ্ছে। প্ল্যান্টটি অপরিকল্পিতভাবে স্থাপন করায় এ অবস্থা তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। এদিকে নগরীর তোপখানার পানি শোধনাগারটি দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে। এ স্থানে ছোট পরিসরে প্রায় ২০ লাখ লিটার বিশুদ্ধ পানি উৎপাদন সক্ষমতাসম্পন্ন একটি প্ল্যান্ট বসাতে চায় সিসিক। এর বাইরে নগরীতে ৪২টি উৎপাদক নলকূপ রয়েছে। এ প্রসঙ্গে সিসিকের উপসহকারী প্রকৌশলী (পানি) সুনীল মজুমদার বলেন, ‘চেঙ্গেরখালে নতুন পানি শোধনাগারের পানি শোধনের সক্ষমতা থাকবে দৈনিক ৫ কোটি লিটার।’

 সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, ‘ক্রমবর্ধমান পানির চাহিদা মেটাতে চেঙ্গেরখালে পানি শোধনাগার প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। মন্ত্রণালয় প্রকল্প অনুমোদন করেছে। এখন একনেকে প্রকল্পটি পাস হলে কাজ শুরু হবে। এ শোধনাগার হয়ে গেলে বিশুদ্ধ পানির সংকট থাকবে না।’

সর্বশেষ খবর